প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্রে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত
যুক্তরাষ্ট্রেও প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯-এর নতুন ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যা এর আগে যুক্তরাজ্যে প্রথম শনাক্ত করা হয়। এই ভাইরাসটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে একজন রোগীর শরীরে করোনার নতুন ধরনটি পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ২০ বছর বয়সী করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সাম্প্রতিক কোনো ভ্রমণের ইতিহাস নেই। তাকে এখন আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা এখন এই রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। সেইসঙ্গে এরকম আরো রোগী আছে কি না, সেটাও খুঁজে দেখছেন।
নতুন ভাইরাস শনাক্তের ঘটনা ঘটল এমন সময় যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনার টিকাদান কার্যক্রমের সমালোচনা করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেনের অভিযোগ, টিকা দেওয়ার কার্যক্রম যথাযথভাবে হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রে এক কোটি ৯৯ লাখের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে তিন লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরনটি আগেরটির তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা সম্পন্ন। তবে সেটি আগের চেয়ে বেশি প্রাণঘাতী নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে কলোরাডোর গভর্নর জ্যারেড পোলিস বলেছেন, ‘ডেনভারের কাছাকাছি অ্যালবার্ট কাউন্টিতে শনাক্ত ওই রোগীকে এখন আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।’ সেখানকার সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা ব্যাপক অনুসন্ধান করে দেখেছেন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি আসা লোকজনের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়নি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এর আগে কানাডায় দুজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্য ছাড়াও ইউরোপের কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।