ফরম পূরণের আংশিক টাকা ফেরত পাবেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল হয়েছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা বাতিলের কারণে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের আংশিক টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
বুধবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায়, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পরীক্ষার উদ্দেশ্যে যেসব খাতে টাকা খরচ হয়নি, সেটাকা ফেরত দেয়া হবে। তবে কত টাকা ফেরত দেয়া হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। পরীক্ষা কেন্দ্র ফি থেকে কিছু অংশ, ইনভিজিলেটর ফি ছাড়াও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি থেকে কিছু অংশ শিক্ষার্থীরা ফেরত দেয়া হবে।
এইচএসসির ফরম পূরণের জন্য গত বছরের নভেম্বরে কেন্দ্র ফি’সহ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক হাজার ৯৪০ টাকা ফি ধরা হয়।
এর মধ্যে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের বোর্ড ফি বাবদ এক হাজার ৬৯৫ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্যের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক হাজার ৪৯৫ টাকা করে নেয়া হয়। এর বাইরে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি (ব্যবহারিক ফিসহ) হিসেবে ৮০৫ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্যের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪৪৫ টাকা করে নেয়া হয়।
কেন্দ্র ফি থেকে থেকে ট্যাগ অফিসারের সম্মানীসহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করতে বলা হয়। কিন্তু যাদের ব্যবহারিক বিষয় আছে তাদেরকে টাকার সঙ্গে প্রতিপত্রের জন্য আরও ২৫ টাকা করে দিতে হয়েছে। এছাড়া ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়নে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত পরীক্ষকের জন্য পত্রপ্রতি ২৫ টাকা করে কেটে নেয়া হয়।
এছাড়া ফরম পূরণের জন্য একজন নিয়মিত শিক্ষার্থীকে প্রতি পত্রের জন্য ১০০ টাকা, ব্যবহারিক বিষয়ের প্রতি পত্রের জন্য ২৫ টাকা, একাডেমিক/ট্রান্সক্রিপ্ট ফি ৫০ টাকা, সনদ ফি ১০০ টাকা, রোভার স্কাউট/গার্লস গাইড ফি ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি পাঁচ টাকা ধরা হয়েছিল।
পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের অনেকেই ফরম পূরণের অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবি তোলেন। এরপর খরচের অবশিষ্ট টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর কারণে গত ৭ অক্টোবর চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।