Lead Newsআইন ও বিচারজাতীয়

ফাঁসির আগে নিশ্চুপ ছিলেন মাজেদ

দীর্ঘ ৪৫ বছর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ। এরপর সাড়ে চার যুগ ধরে দেশ-বিদেশে পালিয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ আসামি।

তবে শেষ রক্ষা হয়নি। জীবনের সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে তখনই ধরা পড়লেন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। গ্রেফতারের পর দ্রুতই শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর করা হয় তার ফাঁসি।

ফাঁসি কার্যকরের পর তার মরদেহ ৫ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর মরদেহ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিচের দরজা থেকে বের করে আনা হয়। সিভিল সার্জন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ফাঁসি শেষে এ সব তথ্য জানিয়েছে কারা সূত্র।

সূত্র জানায়, ফাঁসির আগে ইমামের কাছে তওবা পড়ার সময় চিৎকার করে কান্নাকাটি করলেও ফাঁসি কার্যকরের সময় নিশ্চুপ ছিলেন মাজেদ।

মঞ্চের পাশে উপস্থিত থাকা একজন জানান, ফাঁসির আগ মুহূর্ত ও ফাঁসি কার্যকরের সময় সামান্যটুকু শব্দ করেননি তিনি।

সূত্র জানায়, ফাঁসি কার্যকরের পর তার মরদেহ ৫ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর মরদেহ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিচের দরজা থেকে বের করে আনা হয়। সিভিল সার্জন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সূত্র আরও জানায়, শনিবার সকাল থেকেই ফাঁসির বিষয়টি জানতেন মাজেদ। বিকেলে কনডেম সেলের দায়িত্বরত কারারক্ষীদেরকে মাজেদ তার জন্য দোয়া করতে বলেছেন।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

পরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিটিটিসি। এরপর মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

৮ এপ্রিল মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আবদুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এরপর থেকেই শুরু হয় তার ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া। কারাবিধি অনুযায়ী শুক্রবার তার পরিবারের ৫ জন সদস্য শেষ সাক্ষাৎ করেন। আর আজ রাতে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হলো মাজেদকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 15 =

Back to top button