Lead Newsআন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকারের বাস্তবায়ন চায় অ্যামনেস্টি

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তিতে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপন অপসারণকে অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। রোববার দ্য নিউ আরবের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংগঠন বলেছে, মানবাধিকারের সব ধরনের পরিকল্পিত লঙ্ঘনের অবসান এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী কোনও চুক্তিই ইসরায়েলের দখলদারিকে বৈধতা দিতে পারে না। এটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনে ফিলিস্তিনিদের বঞ্চিত অথবা তাদের সুরক্ষার বিষয়টিকে উপেক্ষা করতে পারে না।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর ইসরায়েলের সঙ্গে বাহরাইনের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণার পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই বিবৃতি দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের চিরবৈরী শত্রু ইসরায়েলের সঙ্গে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছেন।

ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তিকে ঐতিহাসিক অর্জন এবং কূটনৈতিক জয় বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনের পর আরব বিশ্বের অন্যান্য দেশও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের পথে হাঁটবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আমিরাতের পর বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চুক্তিকে ফিলিস্তিনিদের পিঠে আবারও ছুরিকাঘাত বলে মন্তব্য করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। গত ১৩ আগস্ট ইসরায়েল এবং আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও জামাতা জ্যারেড কুশনার নেতৃত্বাধীন একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল।

ইসরায়েল-আমিরাতের চুক্তির ঘোষণা অনুযায়ী, ইসরায়েল দখলিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আর কোনও ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করবে না। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চুক্তি হলেও তারা এই সম্প্রসারণ কার্যক্রম থেকে পিছু হটবেন না।

এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন লড়াই, ফিলিস্তিন ইস্যুসহ মধ্যপ্রাচ্যের পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতি খোল-নলচে পাল্টে যেতে পারে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইসরায়েল-আমিরাতের চুক্তিটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল এবং এটি বাতিল হওয়া উচিত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + twenty =

Back to top button