ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের লক্ষ্যকে প্রথমে সমাধান করতে হবেঃ সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের লক্ষ্যকে প্রথমেই সমাধান করতে হবে।”
অ্যাসপেন সিকিউরিটি ফোরামের একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেই চেতনায় গড়ে তোলার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পথ খুঁজে বের করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিন-ইসরাইল দ্বন্দ্বকে টেকসই দীর্ঘমেয়াদী উপায়ে সমাধান না করে আমরা এই অঞ্চলে সত্যিকারের টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব না।’ মন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান এবং মরক্কো সহ আব্রাহাম চুক্তি স্বাভাবিককরণ চুক্তির সাথে অগ্রগতির সর্বোত্তম উপায় হবে ‘ফিলিস্তিনিদের সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পথ খুঁজে বের করা’।
এই চুক্তির নিন্দা করেছিল ফিলিস্তিনিরা। তাদের দাবি ছিল , “স্বাভাবিকীকরণ প্রস্তাবে একীভূত অবস্থান পরিত্যাগ করা হয়েছে যার অধীনে আরব দেশগুলো দুই-রাষ্ট্রীয় সমাধান অর্জনের পরেই শান্তি স্থাপন করবে। এই বিষয়ে ইসরাইলের সাথে আলোচনা কয়েক বছর ধরে অচল হয়ে আছে । ফোরামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিন ফারহান সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, “তেহরান মধ্যপ্রাচ্যে ‘নেতিবাচক তৎপরতা’ চালানোর জন্য ‘অনুপ্রাণিত হচ্ছে”।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন রিপোর্ট আসছে যা উপসাগরে ইরানের অতিরিক্ত কার্যকলাপ নির্দেশ করতে পারে।’
সামগ্রিক একটি পদ্ধতির আহ্বান জানান তিনি, যা পারমাণবিক চুক্তি আলোচনায় ইরানের আঞ্চলিক আচরণকে মোকাবিলা করবে। তিনি বলেন,”আমরা অবশ্যই ইরানের সাথে একটি চুক্তিকে সমর্থন করি যতক্ষণ না সেই চুক্তি নিশ্চিত করে যে ইরান এখন বা কখনো পারমাণবিক অস্ত্র প্রযুক্তির অ্যাক্সেস পাবে না। এটাই চ্যালেঞ্জ।”
২০১৬ সালে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল রিয়াদ এবং তেহরান।গত এপ্রিল মাসে তারা একে অপরের সাথে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু করে যা এই অঞ্চলে প্রভাব ফেলে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।