বঙ্গভবন–গণভবনে মশা নিয়ন্ত্রণ কীভাবে হয়, জানতে চান মোবাশ্বের
মশার উৎপাতে রাজধানীবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরতে গিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের বাড়িতে এ যন্ত্রণা উপশমে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম নেতা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, বঙ্গভবন ও গণভবনে কী মশা যায় না? মশার কাছে কী বঙ্গভবন ও গণভবন পরিচিত? কীভাবে ওখানে মশা নিয়ন্ত্রণ করা হয়?’
গতকাল দুপুরে শুরু হওয়া ‘নগরীতে মশা সমস্যা: কোন পথে সমাধান?’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন তিনি। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এই ভার্চ্যুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মোবাশ্বের বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আমি জানতে চাই, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা গায়ে কি মশারি দিয়ে বের হন? নাকি নির্ধারিত সময় পরে দরজা-জানালা বন্ধ করে নেটের ঘরের ভেতরে ঢুকে থাকেন? এটি আমার প্রচণ্ড রকম জানার ইচ্ছা।’
গণভবন ও বঙ্গভবনে যদি মশা নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে সারা দেশে নিয়ন্ত্রণের আলোচনার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মশার বিস্তারের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করে মোবাশ্বের বলেন, ‘পাঁচ-ছয় বছর ধরে বলে আসছি, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি মশা উৎপন্ন হয়। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে বলেছি, নগরভবনে যখন মশা মারতে আমাদের নিয়ে অনুষ্ঠান করে মশা মারা হচ্ছে, মেয়রকে নিয়ে আমি ছাদের ওপরে গিয়েছিলাম।
সেখানে গিয়ে তাঁকে দেখালাম, দেখেন ছাদে কত লাখ মশা তৈরি হচ্ছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলাম, ছাদ পরিষ্কারের দায়িত্ব কার? কাগজপত্র বের করে দেখা গেল, এই কাজে কোনো মানুষ নেই। সমস্ত সরকারি, আধা সরকারি ভবনের ছাদে নিয়মিত পরিষ্কার করার জন্য কাউকে নিয়োজিত করা হয়নি।’
ঢাকার দুই সিটির মেয়রকে বহুবার বলেও কোনো ফল পাননি দাবি করে তিনি বলেন, ‘আপনারা (মেয়র) সাধারণ মানুষের বাড়ির সামনে, বাড়ির ভেতর গিয়ে তুলকালাম করছেন, কোনো অসুবিধে নেই। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানে যে মশার সবচেয়ে বেশি প্রজনন হয়, সেটার প্রমাণ পাওয়া গেল। তাদের বিরুদ্ধে কেস ফাইল করতে হবে। যে প্রতিষ্ঠানই হোক, সেই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অন্তত এক ঘণ্টার জন্য হলেও জেলে পাঠাতে হবে।’
আলোচনার শুরুতে নগরীতে মশা নিধনে ব্যর্থতার মূল কারণসমূহ নিয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্সের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী।