বহিস্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মামলা!
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার একটি মানহানি মামলা হয়েছে।
রবিবার (২৮ নভেম্বর) গাজীপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মহানগরের নলজানি এলাকার বাসিন্দা মো. আতিক মাহমুদ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী আন্তর্জাতিক ভাষা আন্দোলন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার পক্ষে গাজীপুর জজ কোর্টের আইজীবী মো. নুর নবী সরদার রেববার বিকেলে ওই আদালতে মামলাটি রজু করেছেন।
আইজীবী মো. নুর নবী সরদার জানান, আদালতের বিচারক মামলা আমলে নিয়ে গাজীপুর সদর থানা পুলিশকে তদন্ত করে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
ওই ঘটনায় গাজীপুরের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে গাজীপুরে মেয়র-সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে কয়েক দফা। ৩ অক্টোবর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১৮ অক্টোবরের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে এর জবাব দিতে বলা হয়। তিনি জবাবও দেন।
ভিডিওর জের ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন হয়ে যায়। গাজীপুরে সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রমে জাহাঙ্গীর আলমকে প্রকারান্তরে এড়িয়ে চলার ঘটনাও ঘটতে থাকে। তার উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে অনড় থাকেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।