করোনার ভয়াল থাবায় আপাতত বাংলাদেশের সব খেলা বন্ধ, বন্ধ ক্রিকেটও। তাই ঘরে বসেই সময় কাটছে ক্রীড়াবিদদের। এই কঠিন সময়ে অন্য রকম আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে ফেসবুকে লাইভ আড্ডায় মেতে ওঠেন তিনি।
করোনার ভয়াল থাবায় আপাতত বাংলাদেশের সব খেলা বন্ধ, বন্ধ ক্রিকেটও। তাই ঘরে বসেই সময় কাটছে ক্রীড়াবিদদের। এই কঠিন সময়ে অন্য রকম আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে ফেসবুকে লাইভ আড্ডায় মেতে ওঠেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে তামিমের লাইভ আড্ডায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা পেসার ওয়াসিম আকরাম। সঙ্গে বাংলাদেশ দলের সাবেক তিন অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান ও খালেদ মাসুদ পাইলটও ছিলেন।
এই আড্ডায় ওয়াসিম আকরাম বাংলাদেশকে প্রশংসায় ভাসালেন। বাংলাদেশ নাকি তাঁর প্রিয় একটি জায়গা। এ দেশের প্রকৃতি, মানুষ, খাবার নাকি তাঁকে খুবই টানে। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সাবেক পাকিস্তানি তারকা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মাছের ঝোল এখনো মিস করি। সেখানে ক্রিকেট খুব জনপ্রিয়। আমি সেখানকার ঘরোয়া ক্রিকেটে আবাহনীর হয়ে খেলেছিলাম। ক্রিকেট নিয়ে যে মানুষের এত বেশি উন্মাদনা থাকে, বিষয়টা আমাকে অভিভূত করে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের দারুণ ভক্ত আমি। তুমি (তামিম), সাকিব ভালো মানের ক্রিকেটার। তোমরা দুজনই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।’
বাংলাদেশে ভালো পেসার উঠে আসার ক্ষেত্রে কী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে, তামিমের এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘অনেক অনুশীলন করতে হবে। অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টি নয়, বিশেষ করে দুদিন, তিন দিন, চার দিনের ম্যাচ অনেক বেশি খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টি তো ফানি ক্রিকেট। টাকা আয় করা যায়। কিন্তু ভালো ক্রিকেটার হতে হলে অবশ্যই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হবে, টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হবে।’
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে ঢাকা আবাহনীর প্রিমিয়ার লিগে খেলে গিয়েছিলেন আকরাম। সেই সময় দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। আর স্টেডিয়ামে দর্শকের উপচেপড়া ভিড় ছিল।