করোনা পরিস্থিতিতেই ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্য ও সেবায় বাড়তি কর আরোপ করায় কিছু পণ্য ও সেবার দাম বাড়ছে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াও কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) প্রস্তাবিত বাজেটটি উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
এবার দাম বাড়বে যেসব পণ্যেরঃ
অনলাইন খাবার, অনলাইন কেনাকাটা, রঙ, বিদেশি টিভি, সিগারেট, সোডিয়াম সালফেট, আয়রন স্টিল, স্ক্রু, আলোকসজ্জা সামগ্রী, কম্প্রেসার শিল্পে ব্যহহৃত উপকরণ, বার্নিশ, বাইসাইকেল, আমদানি করা অ্যালকোহল, গাড়ি রেজিস্ট্রেশন খরচ, শ্যাম্পু, জুস, ইন্টারনেট খরচ, আমদানি করা দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, মোবাইল খরচ, চকলেট, বিদেশি মোটরসাইকেল, বডি স্প্রে ইত্যাদি।
যেসব পণ্যের দাম কমবে:
মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাবস, ওষুধ, স্বর্ণ, চিনি, হস্তচালিত কৃষি যন্ত্রপাতি, পল্ট্রি, ডেইরি, মৎসশিল্পে ব্যবহৃত উপকরণ, ডিটারজেন্ট, ইলেক্ট্রিকাল সিগনাল যন্ত্রপাতি, আইসিইউ যন্ত্রপাতি।
শুল্ক হ্রাস করার ফলে বাজেটে কৃষিপণ্য রোলার চেইন, বল-বেয়ারিং, এমএস সিট, গিয়ার বক্স ও পার্টস, টায়ার-টিউব ইত্যাদিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে।
পোলট্রি ও মৎস্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে- সয়াবিন তেলের কেক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য ও সয়া প্রোটিনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য শতাংশ করা হয়।
দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণে মর্টার, ফটো সেনসেটিভ প্লেট ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়। কম্প্রেসার শিল্পে লুব্রিকেট বা কাটিং ওয়েল এবং বিটুমিন মিনারেল ওয়েল ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
পাদুকা শিল্প ও টেক্সটাইল ফেব্রিসের বিভিন্ন সরঞ্জমাদিতে ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্বর্ণ আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট শূন্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও, প্যারাফিন ওয়াক্স, হস্তচালিত কৃষি যন্ত্র, বৈদ্যুতিক সিগন্যালিং পণ্য এবং রেগুলেটরি ডিউটি হ্রাসের ফলে শিল্পের জন্য ইথিলিন বা প্রোপিলিন, আর্টিফিশিয়াল গার্টস ইত্যাদির দাম কমবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।