জাতীয়

বান্দরবানে সশস্ত্র সংঘাতে ৬ জন নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩

নিহতরা সবাই জনসংহতি সমিতি( এমএনলারমা)’র সদস্য

আধিপাত্য বিস্তারের লড়াইয়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে অস্ত্রধারী দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও ৩ জন। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা এলাকায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে অস্ত্রধারী দুই আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। জেএসএস এবং জেএসএস সংস্কার দু’পক্ষের এই বন্দুকযুদ্ধে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। নিহতরা হলেন-রতন তঞ্চঙ্গা, প্রজিত চাকমা, ডেবিট বাবু, মিলন চাকমা, জয় ত্রিপুরা, দিপেন ত্রিপুরা। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও ৩ জন আহত হয়েছে। এদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন হচ্ছে- খাগড়াছড়ির বাসিন্দার নিং চাকমা (৪২), বিদ্যুৎ ত্রিপুরা (৩৩)। অপরজনের নাম পাওয়া যায়নি। হতাহতরা সকলেই জেএসএস সংস্কার (এমএন লারমা) গ্রুপের সদস্য। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরীন আক্তার।

স্থানীয়দের দাবী, পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সঙ্গে বান্দরবানে নতুন করে ঘাঁটি গড়ে তোলা জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) এবং স্থানীয় সশস্ত্র সংগঠন মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি)’র আধিপাত্য বিস্তারের বিরোধ চলে আসছিলো। এদের পাল্টাপাল্টি হামলায় গত একবছরে বান্দরবানে আওয়ামীলীগ নেতা’সহ অন্তত বিশ জনের মৃত্যু হয়েছে। সন্ত্রাসীরা অপহরণ করা আরও অনেকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ’সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করা হয়েছে। গুলির খোসা’সহ সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরীন আক্তার জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসী দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন মারা গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে আরও ৩ জন। তবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা কারা বিষয়টি তদন্ত না করে বলা ঠিক হবেনা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − thirteen =

Back to top button