এবার ঘরে বসেই শুটিং করলেন নায়ক-নায়িকা!
করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঘরবন্দি রয়েছেন মানুষ। এমন অবস্থায় বাইরের সবকিছুই রয়েছে বন্ধ। বন্ধ থাকায় এতদিন সংগীতশিল্পীরা ঘরে বসে গান করেছেন। তবে এবার ঘরে বসে সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিলেন আফরান নিশো, মেহজাবিনসহ বেশ কয়েকজন অভিনয়শিল্পী। নিজ নিজ বাসায় বসেই ‘ওয়েটিং’ শিরোনামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেন তারা।
শুটিংয়ে কোনো পেশাদার ক্যামেরা বা ক্যামেরাম্যান ছিল না। ছিল না মেকঅ্যাপ আর্টিস্ট ও লাইটম্যান। প্রত্যেকে নিজ নিজ মোবাইলফোনের ক্যামেরা দিয়ে নিজেরাই শুটিং করলেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির।
দশ মিনিটের এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন কাজল আরেফিন। তিনি বলেন, ‘যাদের নিয়ে কাজটি করলাম তাদের মধ্যে কাজের বোঝাপড়াটা অনেক ভালো ছিল। তাই নতুন প্রক্রিয়াই কাজটি করার ঝুঁকি নিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, শুটিং শুরু আগে প্রত্যেকের কাছে চিত্রনাট্য পাঠিয়েছিলাম। ফোনে তাদের চরিত্রগুলো সম্পর্কে জানিয়েছি। সবকিছু ঠিক হওয়ার পর শুটিং শুরু করি।
চরিত্রের সাথে লোকেশন আর ফ্রেমের বিষয় নিয়ে নির্মাতা বলেন, যখন শুটিং শুরু হয় তার আগে প্রত্যেকে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তুলে পাঠিয়েছে। ওই অনুযায়ী আমরা শুটিং করি। ঘরের লাইট, বারান্দা বা ছাদের লাইটের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে নিয়েছি।
এতে অমিত চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো। তিনি বলেন, ‘বাসায় একাই একাই কাজটি করতে গিয়ে বেশ ঝামেলা তৈরি হয়েছে। ক্যামেরা স্ট্যান্ডে লাগিয়ে জোন ঠিক করে জোনে প্রবেশ করে শট দিয়েছি। যদিও কাজটি সহজ ছিল না। একটি কাজ করতে গিয়ে কয়েকবার শট দিয়েছে।’
স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিটিতে অন্তি চরিত্রে দেখা যাবে মেহজাবিনকে। তার বাড়ির দৃশ্যধারণ করেছেন তার ছোট বোন। শুটিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মেহজাবিন বলেন, ‘এটা সত্যিই নতুন এক অভিজ্ঞতা। আর এসব টেকনিক্যাল বিষয়ে আমি অনভিজ্ঞ। শট দিতে গিয়ে কতবার যে এনজি হয়েছে তা বলে বোঝাতে পারব না। গেল দুদিন ধরে কাজটি করলাম। এখন সম্পনা ও মিউজিক দেওয়ার পর কাজটি কেমন হলো তা বোঝা যাবে দেখার পর।’
নির্মাতা কাজল আরেফিন বলেন, ‘এই কাজটি মূলত পরীক্ষামূলক ছিল। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে ঈদের আগে আরো কিছু কাজ করার ইচ্ছা আছে।’
‘ওয়েটিং’ শিরোনামের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই। শিগগিরই সিলভার স্ক্রিন নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে। সূত্র সময়