উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে নদীভাঙন বাড়ছে। পানি বাড়ার বেশ কিছু চরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমার মাত্র ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ধরলা ও তিস্তা অববাহিকার ৫০টি চরের নিচু এলাকা দুদিন ধরে প্লাবিত রয়েছে। এসব এলাকার পাট, ভুট্টা, আউশ ধান, বীজতলা ও সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। গ্রামীণ সড়ক ডুবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার হলোখানা ইউপিসদস্য মোক্তার হোসেন বলেন, আমার বাড়ির কাছে একটি রাস্তাসহ তিনটি রাস্তা বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। তিনি জানান, সারডোবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৬০ মিটার অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গত তিন দিনে অন্তত ২০টি পরিবার ভিটা হারিয়েছে। বিকল্প বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে ১৫টি গ্রাম।
ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙামোড় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবু জানান, তার ইউনিয়নের রাঙামাটি ও খোঁচাবাড়ি গ্রাম দুটির বেশীর ভাগ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ফসল নিমজ্জিত হবার পাশাপাশি গ্রামীণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, মধ্য জুলাইয়ের আগে বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। যেসব এলাকায় নদী ভাঙন চলছে তা চিহ্নিত করে জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।