করোনাভাইরাসবিবিধ

বাড়ি বাড়ি বাজার পৌঁছে দিচ্ছে মসজিদ কমিটি

বাজারে জনসমাগম কমাতে ও মানুষকে করোনা ঝুঁকিমুক্ত রাখতে বাড়ি বাড়ি কাঁচা সবজি ও তরিতরকারি পৌঁছে দিচ্ছে গাজীপুরের টঙ্গী থানাধীন পূর্ব আরিচপুর এলাকার বাইতুল ইউসুফ জামে মসজিদ কমিটি। আজ প্রায় ২৫০ পরিবারের কাছে তরিতরকারি পৌঁছে দেয়া হয়।

কমিটির সদস্যরা জানান, করোনা ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পূর্ব আরিচপুরের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে কাঁচা সবজি বিতরণ করা হয়েছে। যাতে কাঁচাবাজারে লোকসমাগম কম হয়। কমিটির পক্ষ থেকে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাফেরা এবং বাজারে যাতায়াত কম করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

বিতরণকৃত সবজির মধ্যে ছিল- বেগুন, চিচিঙ্গা, মরিচ, করোল্লা, টমেটো ও মিষ্টি কুমড়া। বিতরণের সময় হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা করা হয়। সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাড়াটিয়াদের দরজায় এই সবজির ব্যাগ পৌঁছে দেয়া হয়।

মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ কাজল বলেন, এলাকার বাসিন্দাদের করোনা ঝুঁকিমুক্ত রাখতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী মানুষজন যাতে অপ্রয়োজনে অকারণে ঘর থেকে বাইরে না যায় সে জন্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এরপরও মানুষ অকারণে ঘরের বাইরে বের হয়ে হাঁটাচলা করছে। এতে করোনার ঝুঁকি থেকে যায়। সেই লক্ষ্যে আমাদের মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে এলাকার বিভিন্ন বাড়ির আড়াইশো পরিবারের মধ্যে কাঁচা তরিতরকারি ও সবজি বিতরণ করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য বাজারে লোকসমাগম যাতে কম থাকে।

বাইতুল ইউসুফ জামে মসজিদ কমিটির মোত্তালিব মোহাম্মদ রুবেল খান বলেন, সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা মসজিদেও চারজন মুসল্লির বেশি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। মসজিদ ঘরকে প্রতিদিনই ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত ও জীবাণুনাশক দিয়ে ধোয়ামোছা করা হয়। সেই সঙ্গে এলাকার মানুষদের করোনার ঝুঁকি প্রতিরোধ করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে।

মসজিদ কমিটির সদস্য জুলহাস খান জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তরিতরকারি বিতরণের ক্ষেত্রে যারা সহযোগিতা করেছে তারাও নিরাপদ দূরত্ব থেকে এবং হ্যান্ডমাইক দিয়ে ঘোষণার মাধ্যমে দুয়ারে দুয়ারে এই দ্রব্য পৌঁছে দিয়েছে। করোনা ঝুঁকি কমাতেই আমাদের এই উদ্যোগ।

পূর্ব আরিচপুরের একটি বাসার ভাড়াটিয়া শাহাদাত হোসেন জানান, পারতপক্ষে ঘর থেকে বের হতে চাই না। এরপরও প্রয়োজনে বের হতে হয়। ঘরে ১০-১৫ দিনের চালডাল থাকলেও তরিতরকারির জন্য বাজারে যেতেই হয়। কিন্তু সেখানে সিটি করপোরেশনের লোক থাকে, পুলিশের লোকজন থাকে; তারা বারবার বললেও মানুষজন কোনো কথাই কানে দেয় না। যে যার মতো বাজার-সদাই করে চলাফেরা করছে। সূত্র জাগো

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 + 1 =

Back to top button