বিএনপি করোনার মধ্যে উপনির্বাচনে অংশ নেবে না
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আগামী ১৪ জুলাই বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি।
আজ রোববার তথ্যটি নিশ্চিত করে দলটির চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, রোববার সন্ধ্যায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বন্যার মধ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। আর তাই এ দুটি আসনে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।
এর আগে গতকাল শনিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর জানান, আগামী ১৪ জুলাই বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কমিশনের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি বলেন, এই দুটি আসনে নতুন করে কোনো মনোনয়নপত্র জমা কিংবা দাখিলের দরকার নেই। যেসব প্রার্থী ছিলেন, তারাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। মোট কথা, যে অবস্থায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল, সে অবস্থা থেকেই আবার কার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে গত ২৯ মার্চ ওই দুটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারি ঠেকানোর অংশ হিসেবে তা স্থগিত করা হয়। এখন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকেই এ নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুলাই বগুড়া-১ আসন এবং ১৮ জুলাই যশোর-৬ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত ১৮০ দিন শেষ হতে যাচ্ছে।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের চতুর্থ দফায় বলা হয়েছে, সংসদ ভাঙা ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এ দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহলে এই মেয়াদের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।