শিল্প ও বাণিজ্য

বিটিআরসি’র বিধিনিষেধ বলবৎ থাকছে গ্রামীণফোনের ওপর

গ্রামীণফোনের ওপর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আরোপ করা বিধিনিষেধ স্থগিতের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট কার্যতালিকা (কজ লিস্ট) থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর ফলে গ্রামীণফোনকে দেওয়া বিটিআরসির বিধিনিষেধ বলবৎ থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

গ্রামীণফোনের আবেদনে সোমবার (৬ জুলাই) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্টে বেঞ্চে এ রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেশ দেন।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যদিকে বিটিআরসি’র পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রেজা-ই-রাকিব।

এর আগে গত ২১ জুন গ্রামীণফোনের ওপর দুটি বিধিনিষেধ জারি করে বিটিআরসি। নতুন বিধিনিষেধে বলা হয়, ১ জুলাই থেকে গ্রামীণফোন আগাম অনুমোদন ছাড়া কোনও ধরনের নতুন সেবা, অফার বা প্যাকেজ দিতে পারবে না। এখনকার অফার অথবা প্যাকেজও আবার অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। এছাড়া নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলে গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে ‘লকিং পিরিয়ড’হবে ৬০ দিন। অন্যদের ক্ষেত্রে যা ৯০ দিন।

বিটিআরসি গ্রামীণফোনের ওপর এসব বিধিনিষেধ আরোপ করে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতা প্রবিধানমালার (২০১৮) অধীনে। এর আওতায় সংস্থাটি গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধারী (এসএমপি) অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করে।

কোনও মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসংখ্যা, রাজস্ব অথবা তরঙ্গ—এ তিন ক্ষেত্রের একটিতে ৪০ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যাধারী হলে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা যায়। গ্রামীণফোন গ্রাহক সংখ্যা ও অর্জিত বার্ষিক রাজস্বের দিক দিয়ে ৪০ শতাংশ বাজার হিস্যাধারী।

পরে গত ২৯ জুন বিটিআরসি’র আরোপিত বিধিনিষেধ স্থগিতের নির্দেশনা চেয়ে এ রিট দায়ের করে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 5 =

Back to top button