বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার ভাবনা নেই
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়া। শুধু অস্ট্রেলিয়া-ই নয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আশা করছে যথাসময়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবে সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
এজন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি অপরিবর্তিত রেখেছে আইসিসি। ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়োজনের সূচি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সোহনি ও আইসিসির সদস্যভুক্ত ১২টি দেশ ও তিনটি সহযোগী দেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। করোনাভাইরাসের প্রভাবে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে ছিল দীর্ঘ আলোচনা। নিজেদের ভেতরে আলোচনার পর প্রত্যেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আশাবাদী।
মিটিং শেষে আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সোহনি জানিয়েছেন, শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয় আগামী বছর মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সূচিও এখন পর্যন্ত অপরিবর্তিত।
তবে অস্ট্রেলিয়া সরকারের একটি সিদ্ধান্তে বড় বাঁধা আসতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া সরকার জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ছয় মাস বিদেশিদের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা করা হবে। যদি এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয় তাহলে আয়োজকরা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।
তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা সরকার এবং লজিস্টিক সকল বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ১৫ জন খেলোয়াড়ের সাথে কোচিং স্টাফ, সাপোর্টিং স্টাফ মিলিয়ে দীর্ঘ বহর হয়। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে বিশ্বকাপের কথা ভাববে অস্ট্রেলিয়া।
আইসিসির মেডিকেল কমিটির চেয়ারম্যান পেটার হারকোর্ট বলেছেন,‘ক্রিকেট একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদেরকে নির্দিষ্ট রোডম্যাপ অনুসরণ করতে হবে। ক্রিকেট শুরুর জন্য তড়িঘরি করার কোনো সুযোগ নেই। বিশেষ করে আইসিসি ইভেন্টের জন্য। দল সংখ্যা, ভেন্যু সংখ্যা ও শহরের সংখ্যা যত বাড়বে তত বেশি ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকবে।’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাশাপাশি আগামী বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডে বসবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাশাপাশি ভারতেও বছরের শেষদিকে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দুটি বিশ্বকাপ নিয়েই আশাবাদী আইসিসি। এছাড়া সভায় ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ওয়ানডে সুপার লিগের সূচী নুতন করে তৈরি করার প্রস্তাব গৃহিত হয়েছে। এফটিপি প্রোগ্রামের সম্মিলিতভাবে পর্যালোচনা করবে বলে সভায় আশ্বস্ত করা হয়েছে।