আন্তর্জাতিক

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে ‘জল্লাদ’ আখ্যা দিলো ইসরায়েল

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে ‘জল্লাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাইসির জয়কে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরার আগে বিশ্বশক্তির জন্য চূড়ান্ত “জাগরণ” বলে মন্তব্য করেছেন নাফতালি। ক্ষমতা নেয়ার পর রোববার (২০ জুন) মন্ত্রিসভার প্রথম বেঠকে নাফতালি এসব কথা বলেন।

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের কঠোর সমালোচনা করে নাফতালি বলেন, “ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনি যে লোকগুলোকে বেছে নিতে পারতেন, তার মধ্যে তিনি তেহরানের ফাঁসিদাতাকে বেছে নিয়েছেন, যিনি বহুদিন ধরে ইরান ও বিশ্বজুড়ে হাজারো নিরীহ ইরানি নাগরিকের ফাঁসির হুকুমদাতা হিসেবে পরিচিতি”।

ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাইসির নির্বাচনে অংশ নেয়া ছিল পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরার আগে ‘বিশ্বশক্তির জন্য চূড়ান্ত জাগরণ এবং বোধদয় যে তারা কার সঙ্গে ব্যবসা করছেন।’’

তিনি বলেন, “এই লোক (রাইসি) একজন খুনি, গণহত্যাকারী। এমন একজন নিষ্ঠুর জল্লাদের হাতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র তুলে দেয়া কখনই উচিত নয়। এতে তিনি হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করতে সক্ষম হবে”।

আল-জাজিরা জানায়, “আগামী আগস্টে রুহানির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা নেবেন রাইসি। তার আগেই পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরা ও তেহরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের চলমান আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে”।

২০১৫ সালে ইরান যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করে। চুক্তি মেনে দেশটি পারমাণবিক কার্যক্রম থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়। বিনিময়ে তেহরানের ওপর থেকে  ধাপে ধাপে প্রত্যাহারের কথা জানায় পশ্চিমা দেশগুলো।

কিন্তু ২০১৮ সালে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে তিনি এ চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় ইরানের ওপর।

ট্রাম্পের বিদায়ের পর পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। এর ফলে আলোচনার পথ সুগম হয়েছে, ইীান এতে আশাবাদি হয়েছে। মুখ থুবড়েপড়া সেই পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে নতুন করে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। আর সেই চুক্তির বিষয়েই সবাইকে সতর্ক করেছেন ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × three =

Back to top button