Lead Newsকরোনাভাইরাসস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

বুধবার থেকে ঢামেকে করোনা রোগীদের প্লাজমা প্রয়োগ করা হবে, আশা ডাক্তারদের

আগামী বুধবার (২০ মে) থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনা রোগীদের প্লাজমা প্রয়োগ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।

ডাক্তাররা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যে ৩ জন প্লাজমা দিয়েছেন তাদের সবার প্লাজমাতেই যথেষ্ট অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুরু হওয়া পরীক্ষামূলক প্লাজমা থেরাপি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তাই আগামী পরশু দিন ( বুধবার) থেকে প্লাজমা প্রয়োগ করা হতে পারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ও প্লাজমা থেরাপির জন্য গঠিত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, রোগীর রক্তের গ্রুপের সঙ্গেও ডোনারের গ্রুপ মিলতে হবে। অনেক কিছু এর সঙ্গে জড়িত। অনেক কিছু বিবেচনায় আনতে হয়। তাই একেবারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাই না। তবে আশা করছি পরশু থেকে আমরা শুরু করতে পারবো।

তিনি বলেন, আমরা আরও বেশি বেশি করে প্লাজমা নিতে চাই। প্লাজমা সংরক্ষণ করে রাখা হবে, যখন দরকার হবে তখন রোগীদের দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, রক্তের তরল হলুদাভ অংশকে প্লাজমা বা রক্তরস বলা হয়। রক্তের মধ্যে তিন ধরনের কণিকা ছাড়া বাকি অংশই রক্তরস আর রক্তের প্রায় ৫৫ শতাংশই রক্তরস। প্লাজমা থেরাপিতে শতভাগ সাফল্য আসবে না উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলছেন, তবে যেহেতু কোভিড-১৯ এর কোনও চিকিৎসা এখনও নেই আর প্লাজমা থেরাপির কোনও ক্ষতি নেই তাই পরীক্ষামূলকভাবে এটা দিতে সমস্যা নেই।

অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, যারা প্লাজমা দিচ্ছেন তাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই, তারা নিরাপদ থাকবেন। কোনও ধরনের রি-ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ, আপনার দেওয়া প্লাজমাতে সুস্থ হতে পারেন আরেকজন মানুষ। তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।

তিনি বলেন,  হাসপাতালে ভর্তির পরপরই যেসব রোগীদের শ্বাসকষ্ট শুরু হবে তাদের যদি সঙ্গে সঙ্গে এক ব্যাগ বা ২০০ মিলিলিটার প্লাজমা দেওয়া যায় তাহলে তার অবস্থা খারাপের দিকে না গিয়ে ফল ভালো আসে। কারণ প্লাজমা শরীরের রক্তের মধ্যে যে ভাইরাস থাকে তাকে অকেজো করে দেয়। অ্যান্টিবডি তৈরি করে ভাইরাসের বিপক্ষে।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) প্লাজমা থেরাপি অনুমোদন দেওয়ার পর অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন এ উদ্যোগ নেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানানো হলে, ১২ এপ্রিল এ নিয়ে বৈঠক হয়। ১৮ এপ্রিল তাকে প্রধান করে চার সদস্যের টেকনিক্যাল সাব কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বাকি তিন সদস্য হলেন ঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এবং ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 3 =

Back to top button