বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ) প্রথমবারের মত ৪১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিন শেষে দেশের রিজার্ভ নতুন এ উচ্চতায় পৌঁছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন বা চার হাজার ১০৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা ছাঁড়িয়েছে (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ধরে)। এর আগে গত ৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন অতিক্রম করেছিল।
এই বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ১০ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুত রাখা হয়। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়।
রেমিট্যান্সের বড় প্রবৃদ্ধি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়াতে সহায়তা করেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জুন থেকে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। প্রবাসীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন। দেশের রফতানি খাতও করোনাসৃষ্ট বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের শীর্ষ দুটি খাতের প্রবৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবিসহ দাতা সংস্থাগুলোর ঋণসহায়তা বাড়ছে। এতে রিজার্ভের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। তবে সামনে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করলে রিজার্ভ কিছুটা কমে যাবে।