কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদীর অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন ও থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার, দালাল পাড়া, হোকডাঙ্গা ও ডাক্তার পাড়া গ্রামে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিস্তার ভাঙনে শতাধিক পরিবারের বসত ভিটা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে ৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২টি কমিউনিটি ক্লিনিক, বাধেঁর রাস্তা সহ ৭টি গ্রামের কয়েকশ একর আবাদি জমি।
চলতি বর্ষা মৌসুমে ৩ দফা তিস্তা নদীর ভাঙনে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নে অর্জুন ও থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার, হোকডাঙ্গা ও দালাল পাড়া গ্রামের ৫শত পরিবার বসত বাড়ী সহ সহায় সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। ইতোমধ্যে নদীতে বিলিন হয়েছে গোড়াই পিয়ার, হোকডাঙ্গা,হিন্দু পাড়া ও দালাল পাড়া গ্রাম অধিকাংশ আবাদী জমি,গাছ পালা, সড়ক কালভাট। বৈদ্যুতিক খুঁটি নদীতে বিলীন হওয়ায় বিদ্যূৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, “ভাঙ্গনের তীব্রতা এত বেশী যা ইতি পূর্বে দেখিনি। গত ২ দিন ধরে গ্রামের মানুষজন নিয়ে ভাঙন এলাকায় রয়েছি যখন যে বাড়ী হুমকির মুখে পড়ছে তখনই সেটা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পাউবো ও উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অবগত করেছি।”
তিস্তা নদী রক্ষা কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরদার তিস্তা নদী ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, “আপদকালীন ভাঙ্গন রোধে কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলে বাকি এলাকার ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”