তথ্যপ্রযুক্তি

ভাবনার চেয়েও ভয়ঙ্কর ফোনালাপ নকলের সফ্টওয়্যার, যেভাবে তৈরি হয় ‘ক্লোন ভয়েস’

অনলাইন ডেস্ক: কল রেকর্ড ফাঁস। হালের নতুন কিছু নয় এটি। বিভিন্ন ইস্যুতে হরহামেশাই ঘটছে এ ঘটনা। এর সূত্র ধরে সমসাময়িক অনেক নেতা, সেলিব্রেটি, লেখক, প্রকাশক, রাজনৈতিকসহ অনেকেই ফেঁসেছেন বাজেভাবে।

আর আমরাও কোনো ফোনালাপ হাতে পেলেই চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে নিই। কিন্তু প্রযুক্তির এ যুগে আদৌ যে সুযোগ আছে কি? তাছাড়া ইসলামি শরিয়াহও তো এটাকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করে না।

অথচ আমরা কারো ফোনালাপ ফাঁস হলেই মজার ছলে লুফে নিই। ছড়িয়ে দিই সবার কাছে। আসলে আমি নিজে কতটুকু নিরাপদ তা কি ভেবেছি? পরের টার্গেট আমি হচ্ছি না তো? অন্যের বিপদে হাততালি দিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছি না তো?

তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে অনেককিছুই সম্ভব। কলের মানুষ হলো আর সে মানুষের কণ্ঠবিভ্রাটের ঘটনা ঘটবে না তা কি করে হয়! সম্প্রতি কানাডার একটি সংস্থা যে কারও কন্ঠকে পুনরায় তৈরি করতে এমন একটি নতুন সফ্টওয়্যার আবিস্কার করেছে।

কিন্তু এটি তৈরি সঙ্গে সঙ্গেই অনেক হ্যাকার তা কিনে নিয়েছে। বর্তমানে অনচ্ছিতা সত্ত্বেও এটি ছড়িয়ে পড়েছে ছোট ছোট হ্যাকারদের হাতে। এ তালিকা থেকে বাদ যাই নি আমাদের দেশের হ্যাকাররাও। খুব সহজেই তাদের কাছে এটি এখন পাওয়া যাচ্ছে।

তাদের ভাষ্যমতে, এডিটের সময়টা তারা যতটা বেশি পান, ততোটাই স্মুথ হয় এ এডিটের কাজ। কখনো এমন হয়, নিজের কাজ নিজে শুনেই অবাক হয়ে যান।

কানাডার আবিস্কৃত এ নতুন সফ্টওয়্যার এতোটাই মসৃণ যে, এর মাধ্যমে এডিট করলে সাধারণত কোনো আইটি এক্সপার্টও এ কারসাজি ধরতে হিমশিম খেতে হয়।

সফ্টওয়্যার আবিস্কারক কানাডিয়ান ওই সংস্থার নাম লিয়েরবার্ড। তারা দীর্ঘদিন ধরেই এসব নিয়ে কাজ করছে সে দেশে। তাছাড়া তাদের যশখ্যাতি রয়েছে বিশ্বব্যাপী।

নতুন সফ্টওয়্যারটি আবিস্কারের পর তারা তাদের কাজের স্মোথন্যাস ও শক্তি বোঝানোর জন্য পরীক্ষা স্বরূপ বারাক ওবামা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং হিলারি ক্লিনটনের কম্পিউটার-উত্পাদিত ভয়েস ব্যবহার করে একটি ভুয়া ফোনালাপ প্রকাশ করে। ফোনালাপটি শুনতে ক্লিক করতে পারেন এখানে।

বারাক ওবামা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং হিলারি ক্লিনটনের এ ফোনালাপ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উন্নত বিশ্ব। কোনো ফোনালাপই তাদের কাছে এখন তেমন গ্রহণযোগ্যতা পায় না। তারা তদন্ত করে নিখুত। এরপরই কেবল সিদ্ধান্তে আসে।

তাই যেকোনো ফোনালাপ বা কারো অপ্রীতিকর কোনো ভিডিও সামনে এলে যাচাই করুন। যাচাই করতে না পারলে চুপ থাকুন। অযথা কিছু বলা কিংবা প্রচার করা থেকে চুপ থাকা অবশ্যই শ্রেয়। তথ্যপ্রযক্তির এ যুগে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ হোক ভেবেচিন্তে। সূত্র: টেকজুম

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − three =

Back to top button