Lead Newsবিচিত্র

ভারতীয়দের গুগল সার্চে ‘কাশ্মিরী গার্ল’ শীর্ষে

ভারত-শাসিত কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা ভারতীয় সংবিধান থেকে সম্প্রতি বিলোপের পর কাশ্মিরী মেয়েদের বিয়ে করার উপায় নিয়ে ব্যাপক খোঁজ চলছে গুগলে।
দেখা গেছে, গত ক’দিনে ভারত থেকে যেসব বিষয়ে সবচেয়ে বেশিবার গুগলে সার্চ করা হয়েছে তার মধ্যে একদম ওপরে দিকেই রয়েছে ‘ম্যারি কাশ্মিরী গার্ল’। খবর দিডেইলিষ্টার.নেট অবলম্বনে।
সম্প্রতি শাসক দল বিজেপির এক বিধায়ক বলেছেন, ভারতীয়রা এখন নির্ভয়ে কাশ্মিরে যেতে পারবে,কাশ্মিরী মেয়েদের বিয়ে করতে পারবে।
এনডিটিভির সংবাদে জানানো হয়েছে, বিক্রম সাইনি নামে উত্তর প্রদেশের খাটাউলি এলাকার বিধায়ক গত মঙ্গলবার দলের এক সভায় বলেন, বিজেপি কর্মীরা এখন সেখানে নির্ভয়ে যেতে পারবেন এবং জমি কিনে সেই রাজ্যের মেয়েদের বিয়েও করতে পারবেন। তাছাড়া, এ বিষয়টিকে মোদি সরকারের সাফল্য বলে তুলে ধরেন তিনি।
অধিকৃত কাশ্মির নিয়ে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণের ফলে ভারতের আর দশটি সাধারণ এলাকার মতোই সরকারিভাবে বিবেচিত হবে বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চলটি। এর আর কোনো বিশেষ মর্যাদাও থাকবে না।
সেই সঙ্গে কাশ্মিরে সম্পত্তি কেনাবেচার ক্ষেত্রে অন্যান্য ভারতীয়দের ওপর যে বিধিনিষেধ ছিল সেই বিধানও বাতিল হয়েছে। এর মাধ্যমে কাশ্মিরের জনবিন্যাসে পরিবর্তন আনারও পথ খুলে গেল বলে জানাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিজেপির বিতর্কিত এই বিধায়ক কাশ্মিরে জনবিন্যাসে পরিবর্তন ঘটানোর সুযোগের দিকে ইঙ্গিত করেই এই মন্তব্য করেছেন।
এই বিজেপি নেতা এর আগে নরেন্দ্র মোদি বিরোদীদের ‘ভারতবিরোধী’ বলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। বিরোধী কন্ঠস্বর বন্ধ করতে তাদের বোম মেরে, মেরে ফেলা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
এদিন তিনি বলেন, “আগে কাশ্মিরী মেয়েদের ওপর নানা ধরনের নৃশংস কার্যকলাপ চলত। সেখানকার মেয়েরা উত্তরপ্রদেশ বা দেশের অন্য যুবকদের বিয়ে করলে তাদের নাগরিকত্ব খারিজ করা হতো। কাশ্মিরের বাসিন্দাদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। কিন্তু ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ফলে সেসব আর হওয়ার সুযোগ নেই। দলের অবিবাহিত যুবকরা এর ফলে বেশ উত্তেজিত।”
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ, সংবিধান সংশোধনের পরপরই বদলাতে শুরু করে ভারতে গুগল সার্চের ধারা। সবকিছুকে ছাপিয়ে ভারতীয়রা এখন জানতে চাইছে কাশ্মিরী মেয়ে এবং তাদের বিয়ে করার উপায়। এর মধ্যে কেরালা থেকে গত তিন দিনে সব চেয়ে বেশি সার্চ করা শব্দবন্ধ ছিল ‘ম্যারি কাশ্মিরী গার্ল’।
কেরালার পরেই দ্বিতীয় স্থানে আছে কর্নাটক। কাশ্মিরী মেয়েদের বিয়ে করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরাও। তবে এক্ষেত্রে তারা বেশ পিছিয়ে, রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে।
তবে কাশ্মিরের মেয়েদের অন্য রাজ্যে বিয়ে করতে নিষেধাজ্ঞা ছিল না। এরকম ক্ষেত্রে কাশ্মিরে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে তাদের বঞ্চিত করার বিধান ছিল।এখন আর সেই বিধান কার্যকর থাকছে না বলেই জানা গেছে ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 2 =

Back to top button