ভারতের উপহার হিসেবে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের চালান দেশে এসে পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এয়ার ইন্ডিয়া চার্টারের একটি বিমানে (ফ্লাইট: ১২৩২-২১) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালানটি আসে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ভ্যাকসিন নিয়ে ওই উড়োজাহাজটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তাতে ১৬৭টি বাক্সে করে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আনা হয়।
ভ্যাকসিন আসার পর বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদফতর, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ভোরে মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার ‘কোভিশিল্ড’ নামের ভ্যাকসিন।
দুপুরের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের পক্ষ থেকে তা হস্তান্তর করা হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে। পরে টিকার চালানটি নিয়ে যাওয়া হবে তেজগাঁওয়ে ইপিআইয়ের স্টোরেজে।
উপহারের এই টিকা বিভিন্ন পর্যায়ের ২০-২৫ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে। এরপর হবে মহড়া। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সময়ে সারা দেশে টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ আক্কাস আলী সকালে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০ লাখ ডোজ টিকার মধ্য থেকে কিছু টিকা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নেয়া হবে। সেখানে উপহার গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
অক্সেফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ নামের করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনটি বাজারজাত করছে ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইন্সটিটিউট। গেল শনিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে ভারতের মানুষকে টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উপহারের বাইরে গেল ৫ নভেম্বর ‘কোভিশিল্ড’ নামের ওই টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনতে সেরামের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। এই ৩ কোটি ডোজ দেশের নাগরিকদের বিনামূল্যে প্রয়োগ করবে সরকার। গত ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এ টিকা আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। চুক্তি অনুযায়ী, উপহারের বাইরে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম ধাপে ভারত থেকে সেরামের ৫০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।