রাজনীতি

ভাস্কর্যের পক্ষাবলম্বনকারীরা মুর্খ ও জ্ঞানপাপী: ইসলামী আন্দোলন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, যার মধ্যে ইসলামের ন্যূনতম জ্ঞান রয়েছে তিনি কখনো ভাস্কর্যের পক্ষাবলম্বন করবেন না। আর যারা ভাস্কর্যের পক্ষাবলম্বন করছেন তারা মুর্খ ও জ্ঞানপাপী।

আজ সোমবার (২৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে প্রিন্সিপাল ইউনুছ আহমাদ বলেন, শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানদের দেশে মূর্তির সংস্কৃতি চালুর ষড়যন্ত্র তৌহিদী জনতা মেনে নেবে না। ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে দেশকে পৌত্তলিকতা দিকে ঠেলে দেয়ার চক্রান্ত দেশবাসী রুখে দিবে। ভাস্কর্য বা মূর্তির পক্ষে সাফাইকারীরা বিপথগামী। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, যেখানে শরিয়তসম্মত ওজর ছাড়া ছবি তোলাই জায়েয নেই, সেখানে ভাস্কর্য বা মূর্তি কিভাবে জায়েজ হতে পারে। হাদীস শরীফে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ঘরে মানুষ বা কোন প্রাণীর ছবি থাকে সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না’। মূর্তি বা ভাস্কর্য তৈরী ও স্থাপন কোনোভাবেই জায়েজ হতে পারে না। ইউনুছ আহমাদ বলেন, ইসলামের শুরু থেকে অদ্যাবধি কোনো হক্কানী আলেম কখনো মূর্তির সমর্থন দেয়ার নজির নেই। মূর্তি ধ্বংসে যুগে যুগে নবী-রাসুল ও অলী-আউলিয়াগণ সংগ্রাম করে গেছেন। যে বা যারা মূর্তির বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টায় বিভিন্ন অপব্যাখ্যা দিচ্ছে তারা আর যাই হোক নায়েবে নবী বা আলেম হতে পারে না।

অন্যদিকে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ও মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসলামে ছবির ব্যাপারে হুকুম হলো শরিয়ত সম্মত ওজর ছাড়া ছবি তোলা জায়েজ নেই। এমতাবস্থায় মানুষ বা কোনো প্রাণীর মূর্তি বা ভাস্কর্য তৈরী ও স্থাপন না জায়েজ হওয়ার মধ্যেও কোনো সন্দেহ নেই। তারা বলেন, ইসলামের শুরু থেকে অদ্যাবধি কোনো হক্কানী আলেম কখনো মূর্তির সমর্থন দিয়েছেন তার প্রমাণ নেই। মূর্তির বিরুদ্ধে নবী-রাসূল ও অলী-আউলিয়াগণ সংগ্রাম করে গেছেন। যে বা যারা মূর্তির বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টায় বিভিন্ন অপব্যাখ্যা দিচ্ছে তারা হক্কানী আলেম হতে পারে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 16 =

Back to top button