এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরতে না ফিরতেই ফের বিতর্কের মুখোমুখি বিশ্বসেরা অলরাউণ্ডার সাকিব আল হাসান।গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। বলা হয় কলকাতার কাঁকুড়গাছি এলাকার ‘আমরা সবাই ক্লাব’ আয়োজিত কালীপূজার উদ্বোধন করতে যান সাকিব।
এরপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। সাকিবকে নাস্তিক উপাধিও দিয়ে দেয়া হয়, হুমকি আসে খুনেরও। গত কদিন ধরে সাকিব এসব নিয়ে কোনও কিছু না বললেও সোমবার সন্ধ্যায় ইউটিউবে একটি ভিডিও বার্তায় পরিষ্কার করেন নিজের অবস্থান।
আজ সোমবার এক ফেসবুক লাইভে সাকিব বলেন- ‘প্রথমেই বলতে চাই, আমি নিজেকে একজন গর্বিত মুসলমান হিসেবে মনে করি। আমি সেটাই চেষ্টা করি পালন করার। ভুলত্রুটি হবেই, ভুলত্রুটি নিয়েই আমরা জীবনে চলাচল করি। আমার কোনও ভুল হয়ে থাকলে অবশ্যই আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। নিউজ কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া- সবখানেই এসেছে, আমি নাকি পূজার উদ্বোধন করতে গিয়েছি। আমি কখনোই পূজার উদ্বোধন করিনি বা উদ্বোধন করতে যাইনি।’
সাকিব বলেন, ‘এটার প্রমাণ আপনারা অবশ্যই পাবেন। অনেক সাংবাদিক ভাই-বোনেরা ওখানে ছিলেন। আপনারা ইনভাইটেশন কার্ডও যদি দেখেন, ওখানেই লেখা আছে- কে উদ্বোধন করেছেন। যেখানে আমাদের অনুষ্ঠান হয়েছে, সেটি পূজা মণ্ডপও ছিল না। পাশে আরেকটি মঞ্চ ছিল। সেখানে অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। পুরো অনুষ্ঠান সেখানেই হয়। প্রায় ৪০-৪৫ মিনিটব্যাপী অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম এবং সেখানে কোনো ধর্ম-বর্ণ নিয়ে কোনও কথা হয়নি।’
টাইগার এই বিশ্ব তারকা বলেন, ‘অনুষ্ঠান শেষে যখন গাড়িতে উঠব, যেহেতু পাশেই পূজার আয়োজন ছিল, অনেক রাস্তা বন্ধ ছিল। স্বাভাবিকভাবে মণ্ডপ পেরিয়ে আমাকে যেতে হতো। যাওয়ার সময় পরেশ দা, যিনি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তার আমন্ত্রণে আমি প্রদীপ প্রজ্বলন করি।
সাকিব বলেন, ‘সাংবাদিকরা অনেক উৎসুক ছিল। সবার অনুরোধে প্রদীপ প্রজ্বলনের সময় সেখানে পরেশ দা’র সাথে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তোলা হয়। ছবি তুলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সাথে আমার নিরাপত্তাকর্মীদের একটু বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতিও হয়। সেই ঘটনায় আমরা অদিক দিয়ে আর যেতে পারিনি। পরে ফিরে অন্য রাস্তা দিয়ে যাই। পুরো ঘটনাটা এরকম ছিল।’
ফেসবুক লাইভে তিনি আরও বলেন, ‘দুই মিনিট আমি যে পূজামণ্ডপে ছিলাম সেটা নিয়েই সবাই কথা বলছেন। তারা ধারণা করছে- আমি পূজার উদ্বোধন করেছি। যেটা আমি কখনোই করিনি এবং একজন সচেতন মুসলমান হিসেবে করব না। তারপরও হয়ত ওখানে যাওয়াটাই আমার ঠিক হয়নি। সেটা যদি আপনারা মনে করে থাকেন, অবশ্যই আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী এবং আমি মনে করি এটা আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং ভবিষ্যতে আমি এরকম কোনও ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেই চেষ্টাও করবো।’
[embedyt] https://www.youtube.com/watch?v=Wg0alQ3rX3k[/embedyt]