ভোটের দিন বিএনপির নেতাকর্মীরা কোথায় ছিলেন, ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্ন
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন বিএনপির নেতাকর্মীরা কোথায় ছিলেন? নির্বাচনের আগের দিনও মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে হাজার হাজার নেতাকর্মী ছিলেন। নির্বাচনের দিন ভোটের মাঠে তাঁরা কেউই ছিলেন না। কাজেই এ বিষয়ে আমাদের প্রশ্ন, কোথায় ছিলেন আপনারা?’
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন করা হয়, আপনি নির্বাচনের আগে আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেছিলেন, ভোটের দিন বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মী প্রতি কেন্দ্রে থাকবে। ভোট উপলক্ষে ঢাকার বাইরের লাখ লাখ নেতাকর্মী জড়ো করবে বিএনপি। ভোটের দিন তো একজনও পাওয়া যায়নি। কীসের ভিত্তিতে আপনি এ কথা বলেছিলেন?
এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন তথ্যই ছিল। ভোটের আগের জমজমাট প্রচারণায়ও তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী ছিল। কিন্তু ভোটের দিন তারা কেন্দ্রে এলো না কেন, সেটা আমারও প্রশ্ন।’
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘হেরে গেলে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকেন। সব কথা শুনতে নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব হিসেবে নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতে ভোটে কারচুপির অহেতুক অভিযোগ আনছেন।’
‘ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগই নেই। ভোট নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হয়েছে। বিএনপি অগোছালো দল নিয়ে অনেক ভালো করেছে। তারাও অনেক ভোট পেয়েছে।’
পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর ৭৭ ভাগ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৩টি স্প্যান বসানো হয়েছে। ২৪ নম্বরটিও বসে যাবে ১০ তারিখ। জুলাইয়ের মধ্যে কোনো প্রকার অসুবিধা না হলে সবকটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছি।’
ওবায়দুল কাদের জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পে ৯৮০ জন চীনা নাগরিক কর্মরত রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৩২ জন নববর্ষের ছুটিতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৩ জন ফিরেছেন। এর মধ্যে আটজন শঙ্কামুক্ত থাকলেও বাকিরা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতুতে কর্মরত বাকি চীনা নাগরিকরা আগামী দুই মাসের মধ্যে না ফিরলে কিছু সমস্যা হবে। এখন পর্যন্ত সমস্যা না হলেও সমস্যা হবে দুই মাস পরে।
এর আগে ওবায়দুল কাদের অধীন দপ্তরপ্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নাগরিক সেবা বিষয়ক সভা করেন।