মধ্যরাতে হাইকোর্টের আদেশে বাড়িতে ঠাঁই হল দুই শিশুর
বাবা মারা যাওয়ারর পর দুই শিশু নিজেদের বাড়িতে ঢুকতে পারছে না । এমন বিষয় নিয়ে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেল আলোচনা চলছিল । এসময় টকশোটি নজরে আসে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আবু তাহের মো.সাইফুর রহমানের।
অনুষ্ঠান দেখে মধ্যরাতে আদালত বসিয়ে শিশু দুটিকে নিজেদের বাসায় পৌঁছে দিতে পুলিশকে আদেশ দেন ।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ওই দুই শিশু সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল প্রয়াত ব্যারিস্টার কে এস নবীর (কাজী শহীদুন নবী) দুই নাতী। সম্প্রতি শিশু দুটির বাবা মারা যায় এবং আগেই শিশু দুটির বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের কাছে ছিল শিশু দুটি। এরপর মায়ের কাছে থেকে নিজেদের বাসায় আসতে চাইলে চাচার বাধার কারনে তারা তাদের বাড়ীতে ঠুকতে পারছিলনা ।
শিশুদুটির এক নিকট আত্মীয় জানায়, বাবা মারা যাওয়ায় কুচক্রী চাচা শিশু দুটিকে নানা কৌশলে বাসায় ঢুকতে দিচ্ছে না। ফলে মা-বাবাহীন শিশু দুটি পড়েছে অমানবিক বিপদে।
তার অভিযোগ, সম্পত্তির লোভেই শিশু গুলোর সঙ্গে এমনটি করেছে চাচা ব্যারিস্টার কাজী রেহান নবী। আগে থেকেই তিনি প্রায় তার ভাই কে হুঁমকি দিতো।
টকশোতে এসময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। টকশো শেষের দিকে মনজিল মোরসেদ জানান, টকশোটি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি বিচারপতি আবু তাহের মো.সাইফুর রহমানের নজরে আসায় তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে তাৎক্ষণিক আদেশ দেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আদেশে ওই দুই শিশুকে তাদের বাসায় নিরাপদে রেখে আসতে ধানমণ্ডি থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আজ (রোববার) আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদনও দাখিল করতে বলা হয়েছে ধানমণ্ডি থানার ওসিকে।
এ বিষয়ে ধানমণ্ডি থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, আমরা রাত দেড়টার দিকে দুই শিশুকে তাদের বাসায় পৌঁছে দিয়ে এসেছি।