মন্দির রক্ষায় আদালতের দ্বারস্থ হলেন মুসলমানরা
অবৈধ ভাবে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে একটি মন্দির। সেটি রক্ষা করতে এলাকার মুসলমান বাসিন্দারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। ভারতের দিল্লির জামিয়া নগরের নুর নগর এলাকার ঘটনা।
শুধু তা-ই নয়, মন্দির ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক অশান্তি না ছড়ায়, আদালতের কাছে সেই আর্জিও জানিয়েছেন আবেদনকারীরা।
জামিয়া নগর এলাকার ২০৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির কিছু বাসিন্দা সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। নিজেদের আবেদনে তারা জানান, “এলাকার কিছু অসাধু প্রোমোটার স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সাথে হাত মিলিয়ে ইতিমধ্যেই মন্দির চত্বরে থাকা ধর্মশালাটি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলেছে। মন্দিরটি ভাঙ্গার জন্য তার মধ্যে থাকা ৮-১০টি মূর্তিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে রাতারাতি। এ বার তাদের লক্ষ্য, মন্দিরটি ভেঙ্গে ফেলে সেখানে বহুতল বা অন্য কোনো ভবন নির্মাণ করা। মন্দিরটি যাতে কোনোভাবেই না ভাঙ্গা হয়, তার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন আবেদনকারীরা।”
আবেদনে আরো বলা হয়েছে, “১৯৭০ সালে নুর নগরে তৈরি হয়েছিল মন্দিরটি। তার পর থেকে প্রতিদিনই সেখানে পূজা ও কীর্তন হয়ে আসছে। নুর নগর লাগোয়া আর একটি এলাকায় ইতিমধ্যেই মন্দির ভেঙ্গে অবৈধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে। নুর নগরেও যেকোনো সময়ে ওই মন্দিরটি ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।”
জামিয়া নগরের বাসিন্দাদের আবেদন শুনে তিন দিন আগে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবের বেঞ্চ দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, কোনো অবৈধ প্রক্রিয়ায় মন্দির চত্বর থেকে যাতে কোনো কিছু উচ্ছেদ না করা হয়। মন্দিরটিও যেন অক্ষত অবস্থায় থাকে। এলাকায় যাতে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে, পুলিশকে তা দেখতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সূত্র : আনন্দবাজার