নগরজীবন

মসজিদে বিস্ফোরণ: মেয়ে ও নাতনিকে নিয়ে ময়মনসিংহে ফেরা হলো না ফরিদের

ফরিদ হোসেনের (৫৫) মেয়ে খাদিজা আক্তার ও জামাতা ফারুক হোসেন থাকেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদ এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার ফরিদ সেখানে যান মেয়ে ও নাতনি সুমাইয়াকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

শনিবার সকালে ফরিদ হোসেনের ময়মনসিংহের ত্রিশালে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর আর ফেরা হয়নি। শুক্রবার রাতে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। পুড়ে যায় শরীরের ৭০ শতাংশের বেশি।

ফরিদ হোসেন এখন রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে আছেন তাঁর পরিবারের আরো কয়েকজন। তাঁদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।

ফরিদের ছেলে আবু রায়হান বলেন, ‘আমার বোন আর ভাগনিকে আনতে বাবা নারায়ণগঞ্জ গিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। শনিবার সকালে ওদের নিয়ে ময়মনসিংহে ফেরার কথা ছিল। বাবা নারায়ণগঞ্জ ছাড়লেন, কিন্তু মরার মতো হয়ে।’

আবু রায়হান বলেন, “এই ঘটনার পর আমার বোন বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। আপা শুধু বারবার বলছেন, ‘আমাকে নিতে এসে বাবার এই অবস্থা। আমি দায়ী।’ এসব বলছেন আর জ্ঞান হারাচ্ছেন। বাবার অবস্থা খুব খারাপ। ডাক্তার বলেছেন, শ্বাসনালিসহ শরীরের মোট ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে।”

ফরিদ হোসেনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাতে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ফরিদের অবস্থা গুরুতর। তাঁর শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + nineteen =

Back to top button