নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টার মধ্যে ওই ২৩ জনের লাশই তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়া গুরুতর অবস্থায় ১৪ জন ঢাকার শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে চিকিৎসাধীন। আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।
এর আগে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানিয়েছিলেন, বিস্ফোরণের সময় শতাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করছিলেন। আহতদের প্রথমে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহতদের ঢাকায় পাঠানো হয়। ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে নেওয়া হয়।
আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন জানিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সর্বাত্মক চেষ্টা করার জন্য।’
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমাদের যা যা সুযোগ-সুবিধা আছে, সব ব্যবহার করে আমরা চেষ্টা করছি; বাকিটা ওপরওয়ালার ইচ্ছে। সবাইকে বলব, আহতদের জন্য দোয়া করবেন।’
এদিকে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে দাফন সম্পন্ন করার জন্য ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।