আন্তর্জাতিক

মহাকাশে ইরানের প্রথম সামরিক স্যাটেলাইট

ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর প্রথমবারের মতো সামরিক পরিদর্শন স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণে সফল হয়েছে ইরান। বুধবার দেশটির বিপ্লবী গার্ডের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নুর নামের স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে পাঠানো হয়েছে।

মারকাজি মরুভূমির কাসেদ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে স্যাটেলাইটটি পাঠানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন আড়াল করতে স্যাটেলাইট কর্মসূচি চালাচ্ছে ইরান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইরান ২০০৯ সালে প্রথম উমিদ বা আশা নামের স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠায়। সে দেশের বিজ্ঞানীরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে এটি তৈরি করেন। এরপর ২০১০ সালে ইরান মানুষ বহনোপযোগী মহাকাশযানও পাঠায়। কাভেশগার বা অভিযাত্রী-৩ নামের রকেট এ মহাকাশযানকে বহন করেছিল। এ ছাড়া ২০১৫ সালে ফজর বা উষা নামে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে ইরান। এটি উঁচুমানের ছবি তুলে তা পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে।

প্রথম সামরিক স্যাটেলাইট পাঠানোর পর ইরানের বিপ্লবী গার্ডের তরফে জানানো হয়েছে এটি পৃথিবীকে ৪২৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে প্রদক্ষিণ করবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই কার্যক্রম একটি বিশাল সফলতা এবং মহাকাশ ক্ষেত্রে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের জন্য নতুন উন্নয়ন।’

বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের মহামারি এবং তেলের সর্বনিম্ন মূল্যের মধ্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে ইরান ঝুঁকি নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবুরি ইন্সিটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইন মন্টেরারির গবেষক ফাবিয়ান হিনজ বলেন, ‘এর মাধ্যমে বেশ কিছু লাল পতাকা উড়বে। এখন দেখা যাচ্ছে (যুক্তরাষ্ট্রের) সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি অব্যাহত থাকলেও ইরান তাতে আর কোনও ঢিলা দেবে না।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =

Back to top button