দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে যে সংকট চলছে, তার মধ্যেই সুখবর হয়ে দেখা দিয়েছে কক্সবাজারের মহেশখালীর কূপগুলো। অনুসন্ধান বলছে, মহেশখালী কাঞ্চন-১ কূপে প্রায় ১.৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস রয়েছে। তবে সেখান থেকে কী পরিমাণ গ্যাস উত্তোলন করা যাবে, তা নিশ্চিত হতে আরো মাস ছয়েক সময় লাগতে পারে।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর মহেশখালীর কাঞ্চন-১ কূপের খনন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত কূপটির ৪ হাজার ২০০ মিটার পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। তাতেই এই কূপে তিনটি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকেও উঠে এসেছে।
ওই বৈঠকে খননকৃত কাঞ্চন-১ কূপের বিভিন্ন সম্ভাবনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে এখনই জানানো ঠিক হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সচিব। পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা সে জন্য আরো ৬ মাস সময় চেয়েছেন।
এই সময়ের মধ্যে ৩ মাস গ্যাস অনুসন্ধান এবং বাকি ৩ মাস গ্যাস উত্তোলনের বাণিজ্যিক উপযোগিতা যাচাই করা হবে। এই কূপে সম্ভাব্য গ্যাসের মজুদ এবং উত্তোলনের যে পরিমাণের কথা বলা হচ্ছে, তা সত্যি হলে দেশের জ্বালানি খাতের জন্য সুখবর বয়ে আনবে।
জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিজস্ব কূপ থেকে উত্তোলন করা প্রাকৃতিক গ্যাসই ছিল দেশের প্রধান জ্বালানি। এতে সংকট দেখা দেয়ায় বিদেশ থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হচ্ছে। ব্যয়বহুল এই জ্বালানি আমদানি ভবিষ্যতের জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্বস্তির খবর হয়ে এনেছে কক্সবাজারের মহেশখালীর কূপগুলো।
দেশের বিভিন্ন স্থানে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ আলীও আশা প্রকাশ করে বলেন, মহেশখালীর কাঞ্চন-১ কূপে ১.৯ টিসিএফ গ্যাসের মজুদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।