দীর্ঘ ৪৫ বছর পর ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের।
মাজেদের মৃত্যুদন্ডের রায় রাত ১২টা ১ মিনিটে কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা।
রোববার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে কারা ফটকে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, ১২ এপ্রিল রাত ১২টা ১ মিনিটে রায় কার্যকর করা হয়েছে। এই রায় কার্যকরের মাধ্যমে বাঙ্গালি জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো।
এসময় তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী তারা মরদেহ নিয়ে যাবেন।
ফাঁসি কার্যকরের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকা জেলা প্রশাসক, সিনিয়র জেল সুপার, জেল সুপার, ডেপুটি জেলার, সিভিল সার্জনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে ফাঁসির প্রস্তুতি দেখতে কারাগারে যান আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা।
ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি আগে থেকে নিশ্চিত ছিল। তাই রাত ১০টার পর আবদুল মাজেদকে তার সেলে গিয়ে তওবা পড়িয়েছেন কারা মসজিদের ইমাম। কারা সূত্র জানায়, চিৎকার করে কেঁদে তওবা পড়েছেন ক্যাপ্টেন মাজেদ।