আন্তর্জাতিক

মার্কিন সেনা ঘাটি ছাড়ছে আফগান শরনার্থীরা

যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়া আফগান শরনার্থীদের অনেকেই এখন সেনা ঘাটিগুলো ছাড়তে শুরু করেছেন। বিষয়টিকে ‘অপ্রত্যাশিত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে রয়টার্স।

এরইমধ্যে শত শত আফগান বিভিন্ন কারণে সামরিক ঘাটিগুলো ছেড়ে গেছেন। দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থাটি। এতে জানানো হয়েছে, ৭০০ কিংবা তারও বেশি আফগান ঘাটি ছেড়েছেন। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। প্রথম দিকে যারা ছেড়ে গেছেন তাদের সংখ্যা গণনা করা হয়নি এখনও। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখাচ্ছেন শরনার্থীদের নিয়ে কাজ করা এক্টিভিস্টরা।

২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আগস্ট মাসে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সুযোগে দেশের ক্ষমতা দখল করে নেয় তালেবান। তালেবানের অধীনে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা অনেক আফগান তখন দেশ ছাড়ে। তাদেরকে উদ্ধার করে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকগুলো দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রে তাদেরকে মানবিক দিক বিবেচনায় সাময়িক স্বীকৃতি দেয়া হয়। তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে আনার পরে সামরিক ঘাটিগুলোতেই রাখা হয়েছে। তবে এখন সেখান থেকে শরনার্থীদের অনেককেই অন্যত্র চলে যেতে দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক মুখপাত্র। তবে কতজন শরনার্থী ঘাটি ছেড়েছেন সে বিষয়ে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। তবে তিনি জানান, যারা এরইমধ্যে ঘাটি ছেড়ে গেছেন তাদের আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে পরিচিত জন ও আত্মীয় ছিল। তারা মূলত সেখানেই চলে গেছেন। তাছাড়া অনেকেরই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ছিল। তাই তারা সহজেই ঘাটি ছাড়তে পেড়েছেন।

এদিকে শরনার্থী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব আফগান সামরিক ঘাটি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছেন তারা কোনো আইন ভাঙছেন না। তাদের আটকানোরও কোনো অধিকার নেই। মূলত ৮টি ঘাটিতে অর্ধলক্ষের বেশি আফগানকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরমধ্যে টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিজ থেকে তিন শতাধিক শরনার্থী অন্যত্র চলে গেছেন। এটিই মূলত এক্টিভিস্টদের নজর কেড়েছে।
তবে এ নিয়ে মার্কিনিদের ভীত হওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করা হচ্ছে। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকল আফগানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়াদি নিশ্চিত হওয়ার পরই ঘাটি ছাড়তে দেয়া হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ঘাটি ছাড়া শরনার্থীদের কিছু নির্দেশনা দিচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এতে তাদের অভিবাসন সংক্রান্ত নথিপত্রের পাশাপাশি তাদেরকে অর্থও প্রদান করা হচ্ছে। তবে একবার ঘাটি ছাড়লে আর ফিরে আসা যাবেনা এমন সাবধান বার্তাও দেয়া হয়েছে এতে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =

Back to top button