নিজেদের নাগরিক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারকে ফিরিয়ে নিতেই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ফিরে না যাওয়ার জন্য মিয়ানমারকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের মাঝে আস্থা তৈরি করতে পারেনি। যে কারণে তারা ফিরতে রাজি হচ্ছে না। তবে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতেই হবে। তাদের আমরা বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াতেও পারব না। তাদের ফিরে যেতে হবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যেসব দাবি জানাচ্ছে সেটা মানতে আমরা বাধ্য নই। এটা তাদের নিজ দেশে গিয়ে অর্জন করতে হবে।’
মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হওয়ায় তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আরও চাপ সৃষ্টি করা হবে।’
এখনো প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব না হওয়া প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, এ বিষয়ে মিয়ানমারের সাথে আরও আলোচনার সুযোগ আছে।
‘আমরা তাদের আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম রোহিঙ্গাদের ১০০ জন নেতাকে সেখানে (রাখাইনে) নিয়ে যেতে। তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য সেখানে কী কী করা হয়েছে সেগুলো দেখে এসে তারা অন্যদের বোঝাবে। রোহিঙ্গাদের জন্য সে দেশে চীন এক হাজার ও ভারত আড়াই শ বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে। সেগুলো দেখে এসে তারা যখন অন্য রোহিঙ্গাদের বলত তখন তারা আশ্বস্ত হত, প্রত্যাবাসনে রাজি হত। কিন্তু মিয়ানমার সেটা করেনি। তাই প্রত্যাবাসনের ব্যর্থতার দায় তাদেরই,’ যোগ করেন তিনি।
মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যাবাসনের জন্য যা যা করা দরকার সরকার সব করবে।’
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে কূটনৈতিকভাবে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে বিএনপি যে অভিযোগ করেছে তার জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের ফেরাতে পারিনি এটা সত্য। তবে তাদের যেতে হবে। কবে যাবে সেটা হয়তো এখন বলা যাচ্ছে না। বিএনপির কাছে অন্য কোনো ভালো উপায় থাকলে আমরা তাদের স্বাগত জানাব।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।