যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে ৯৬ শতাংশ করোনা রোগী উপসর্গহীন
যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও অঙ্গরাজ্যের কারাগারগুলোতে যখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো তখন এগুলোর দায়িত্বে থাকা পরিচালকের মনে হচ্ছিল, তিনি এক ভূতের সঙ্গে লড়াই করছেন। কোত্থেকে সংক্রমণ শুরু হলো তা সবসময় খুঁজে বের করা সম্ভব ছিল না। তাই সব কয়েদিরই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা শুরু হয়।
ম্যারিয়ন কারেকশনাল ইনস্টিটিউট থেকে তারা পরীক্ষা শুরু করে। সেখানে কয়েদি ছিল আড়াই হাজার, যাদের অনেকেই বয়স্ক ও রোগাক্রান্ত। দুই হাজার ৩০০ জনের করোনা পরীক্ষার পর দেখা যায় দুই হাজার ২৮ জনই পজিটিভ বা আক্রান্ত। প্রায় ৯৬ শতাংশের শরীরেই তখনো কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।
আরকানসাস, নর্থ ক্যারোলিনা, ওহিও এবং ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের কারাগারগুলোতে পরীক্ষা করে দেখা যায় তিন হাজার ২৭৭ জন করোনা ভাইরাস পজিটিভ। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, তাদের মধ্যে ৯৬ শতাংশের শরীরেই কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।
কারাগার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
এতে বোঝা যায়, উপসর্গহীন রোগী, যারা আক্রান্ত হলেও শরীরে উপসর্গ দেখা দেয় না, তারা ভাইরাসটি বহন করে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। মার্কিন অঙ্গরাজ্যের কারাগারগুলোতে যে ১৩ লাখ কয়েদি রয়েছে, শুধু তাদের মধ্যেই এভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে তা নয়। বিশ্বজুড়েই উপসর্গহীন রোগীরা ভাইরাসটি ছড়াতে অন্যতম ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ফলে সংক্রমণের উপসর্গ রয়েছে, শুধু এমন ব্যক্তিদেরই করোনা পরীক্ষা করা উচিত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা উপসর্গহীন রোগীরা অবাধে চলাফেরার মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে পারে। তবে সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত উপসর্গহীন রোগীদের অনেকের শরীরেই পরবর্তীকালে উপসর্গ দেখা দেয়।