এদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ ও পররাষ্ট্রদপ্তর পৃথকভাবে র্যা বের সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সে বিষয়ে দেখভাল করতে ৩ মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রিসভা বৈঠকশেষে এক ব্রিফিংয়ে গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব একথা জানান। এদিন নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। অপরদিকে, সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে এসময় সাংবাদিকরা জানতে চান যে, র্যা বের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। এর কারণ হলো— বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা হ্যান্ডেল করছেন বিষয়টি।
সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করা একজন সংসদ সদস্য বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টাও দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। “তাকে এটি নিয়েও কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তো ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন, আপনারা দেখেছেন।”
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে গত ১০ ডিসেম্বর পৃথকভাবে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বা রাজস্ব বিভাগ এবং পররাষ্ট্র দপ্তর। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যা বের সাবেক ও বর্তমান প্রধানসহ ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।