জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলেন ডা. ফেরদৌস, এখন আছেন কোয়ারেন্টাইনে

বাংলাদেশে ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে ঢাকার ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

রোববার বিকেলে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তিনি।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে তার করোনা শনাক্তের অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়। এর ফলাফল পজিটিভ এসেছিল। এখন করোনা না থাকলেও যেহেতু তিনি বিদেশ থেকে এসেছেন তাই তাকে ব্র্যাক সেন্টারে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, লালা, স্রাব (নাক থেকে নেয়া) নমুনা থেকে করোনাভাইরাস নির্ণয় করতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। আর রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা নির্ণয় করতে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করতে হয়। এই দুটি পদ্ধতিতে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে ডা. ফেরদৌস খন্দকারের অ্যান্টিবডি একবার পজিটিভ ছিল। যেহেতু তিনি বিদেশ থেকে এসেছেন সেহেতু তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি দেশে ফিরে বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসার ঘোষণা দিয়ে বিতর্কের মধ্যে পড়েন এই চিকিৎসক। অনেকে তাকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের স্বজন বলে দাবি তোলে।

দেশে ফিরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার পর নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন ডা. ফেরদৌস।

তিনি লিখেছেন, ‌‌‘প্রিয় বাংলাদেশ। দেশে এসেছিলাম নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনা নিয়ে সবার পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে। তার জন্যে জীবনের ঝুঁকি নিতেও আমি পিছপা হইনি। যখন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে আমি দেশে এসেছি, তখন একদল লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, আমি নাকি খুনি খন্দকার মোশতাকের ভাতিজা কিংবা খুনি কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই। অথচ পুরো বিষয়টি কাল্পনিক। আমার বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। কুমিল্লায় বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের বাড়ি। কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য জেলা। কুমিল্লায় বাড়ি হলেই কেউ খুনি মোশতাকের ভাতিজা কিংবা কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই হয়ে যায় না। আমি স্পষ্ট করে বলছি, এই দুই খুনির সাথে আমার পারিবারিক কিংবা আদর্শিক কোনো সম্পর্ক নেই। বরং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমি, তাদেরকে চরম ঘৃণা করি। ফলে যারা এই খারাপ কথাগুলো ছড়াচ্ছেন, বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার; ভালো কাজে বাধা দেয়া। এটা অন্যায়। আমি তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছি। সেই সাথে প্রমাণের জন্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি। যদি মনে করেন আমার সেবা আপনাদের দরকার, তাহলে পাশে থাকুন।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 3 =

Back to top button