যে কারণে এখনো করোনামুক্ত খাগড়াছড়ি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এরইমধ্যে দেশের প্রায় সব জেলায় ছড়িয়ে পড়েছেন। তবে প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, অপ্রয়োজনে বের না হওয়াসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা স্থানীয়দের। লোকালয় থেকে দূরে বাঁশ ছন কাটের মাচাং ঘর বানিয়ে নিজেরাই তৈরি করেছে কোয়ারেন্টাইন। এসব ঘরে রাখা হচ্ছে অন্যান্য জেলা থেকে আসা মানুষকে। এমনকি হোম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ না করে বাড়ি ফেরার প্রবণতাও দেখা যায়নি কারো মধ্যে।
প্রশাসনের পাশাপাশি পারিবারিক সচেতনতার কারণেই এখন পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২০৬১ জন। উপজেলা প্রশাসনের ট্যাগ অফিসারের তদারকিতে তাদের দেখাশোনা করছেন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ জানান, খাগড়াছড়ি এখনো করোনামুক্ত। এখানকার মানুষ খুবই সচেতন। তারা নিজেরাই বহিরাগতদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছে। আরো সচেতন হলে দ্রুত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
খাগড়াছড়ির ডিসি প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, খাগড়াছড়িতে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বহিরাগতদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সামাজিক দূরত্ব ও অপ্রয়োজনে বের না হওয়া নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষকে জরিমানা ও অন্যান্য সাজা দেয়া হয়েছে। ধৈর্য ও সচেতনতা ধরে রাখতে পারলে আমরা শিগগিরই করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হবো। সুত্র ডেইলি বাংলাদেশ