Breakingধর্ম ও জীবন

যে কারণে রোজা রাখছেন ম্যানচেস্টারের অমুসলিম পুলিশ

মুসলিম সহকর্মীর প্রতি সংহতি জানিয়ে রোজা রেখেছেন একজন অমুসলিম পুলিশ কর্মকর্তা। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের দক্ষিণ ম্যানচেস্টারের ওয়াইথেনসওয়ে শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। ম্যানচেস্টার ইভিনিং নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে।

ম্যানচেস্টার ইভিনিং জানায়, সার্জেন্ট কাসেম হানিফ ওয়াইথেনসওয়ে শহরে পুলিশের দায়িত্ব পালন করেন। তার মুসলিম সহকর্মীর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আরেক সার্জেন্ট কেভিন গ্যামন্ড এবারের রমজানের সব রোজা রাখছেন। এছাড়াও দুজনে একসঙ্গে আগামী ১২ মে ঈদও উদযাপন করবেন। দীর্ঘ দিন ধরে একসঙ্গে কাজ করার ফলে তাদের বন্ধুত্বও গভীর হয়েছে।

রমজান মাস শুরু হওয়ার পর কাসেম রোজা সম্পর্কে আমার সঙ্গে আলোচনা করতে আসেন। তখন আমি তাকে বলি- আমি এবার তোমার সঙ্গে রোজা রাখবো।রোজা রাখার অনুভূতি জানিয়ে সার্জেন্ট গ্যামন্ড

গ্যামন্ড আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমার জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু আমি ব্যর্থ হইনি। আর এটিই আমার মনোবল দৃঢ় রাখতে সহায়তা করেছে। তবে রোজার রাখার সময় আমি সকালের নাশতা ও কফি খুব মিস করেছি। প্রায়ই রাতের বেলায় আমি জেগে থাকি এবং দুই-তিনবার নাশতা করি। রাতে না খেলে দিনের বেলায় আমার মাথাব্যথা হয়। এটি সত্যিই অন্য রকমের অনুভূতি।’

হানিফ ও গ্যামন্ড দুজনেই এখন ঈদুল ফিতর পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গ্যামন্ড বলেন, ‘ওই দিন আমরা অফিসের দায়িত্ব পালন করবো। সে কারণে ওই দিন আমরা কিছু খাবার অর্ডার দিয়েছি।’

সার্জেন্ট হানিফ বলেন, ‘গ্যামন্ড ও আমি একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করি। সে এবার রোজা করার কারণে আমি বেশ আনন্দিত। তবে সারা দিন খাবার না খেয়ে থাকার বিষয়টি আমাকে ভীষণ পীড়া দেয়।’

হানিফ আরও বলেন, রমজান আমাদের ক্ষুধার্ত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে শেখায়। বিশ্বের সব অসহায় ব্যক্তিকে স্মরণ করে এবং আল্লাহর প্রতি তাকওয়া অর্জনের জন্য আমরা রোজা রাখি।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 12 =

Back to top button