Lead Newsজাতীয়

রাজধানী ঢাকারই ৪৫ এলাকা রেড জোনে!

করোনার সংক্রামণ প্রতিরোধে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪৫টি এলাকাকে। করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির গত শনিবারের সভায় এসব এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন প্রশাসন এসব এলাকা লকডাউনের কাজ দ্রুতই শুরু করবে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মোট ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির ১৭ এবং দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকা আছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকা রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। সিটি করপোরেশনের বাইরে তিন জেলার মধ্যে গাজীপুরের সবক’টি উপজেলাকে রেড জোনের আওতার মধ্যে আনা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সদর এবং পুরো সিটি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সচিব ডা. জহিরুল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত ১১ জুন কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত ১৪ দিনে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার ভেতরে ৬০ জন রোগীর থাকার ভিত্তিতে এই রেড জোন ঘোষণা করা হচ্ছে। এটা কেবল ঢাকা ও চট্টগ্রামের জন্য প্রযোজ্য। বাকি জেলাগুলোতে ১৪ দিনের ভেতরে ১ লাখ জনসংখ্যার ১০ জন থাকলে সেটাকে রেড জোন ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটির রেড জোন চিহ্নিত এলাকা:

উত্তর সিটি করপোরেশনের যে ১৭ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো- মিরপুর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রাজাবাজার, উত্তরা, রায়েরবাজার ও বসুন্ধরা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির রেড জোন চিহ্নিত এলাকা:

দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকার মধ্যে আছে যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, বাসাবো, শান্তিনগর, পরীবাগ, পল্টন, আজিমপুর, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলী, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।

চট্টগ্রাম সিটির রেড জোন চিহ্নিত এলাকা:

চট্টগ্রাম সিটির ১০টি এলাকা রেড জোনের মধ্যে রাখা হয়েছে। এগুলো হলো, কোতোয়ালির ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, বন্দরে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, হালিশহর এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।

রেড জোনের ঘোষণা আসার আগেই জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, সরকার মূলত জোনভিত্তিক লকডাউনের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলার কৌশল গ্রহণ করেছে। সেই কৌশলে রেড জোন চিহ্নিত এলাকা লকডাউনের আওতায় থাকবে এবং সাধারণ ছুটিও থাকবে সেখানে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − seven =

Back to top button