বিবিধ

‘রাজা’র দাম হাঁকা হলো ১৫ লাখ টাকা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মানিক কাজী গ্রামের উমর আলীর ছোট ছেলে জয়নাল আবেদিনের সাথে তার বাড়িতে কথা হচ্ছিল তার লালন-পালনে বেড়ে ওঠা শংকর জাতের একটি ষাঁড় নিয়ে।

ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ১২ ফুট উচ্চতা ৬ ফুটের কাছাকছি। ওজন আনুমানিক ২৪ থেকে ২৫ মণ। বয়স প্রায় সাড়ে চার বছর। ধবধবে সাদা রং এর ওপর কালো রং এর আবরণে ঢাকা। বিশাল দেহ দেখতে অনেকটা দৈত্যের মতো। খাওয়া-দাওয়ায় রাজকীয় ভাব। এ জন্যই তার নাম রেখেছে ‘রাজা’ অর্থাৎ ‘বাংলার রাজা’!

তার দাম হাঁকিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা। এবারের ঈদুল আজহার বাজারে ‘বাংলার রাজাই’ হচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলার প্রথম এবং একমাত্র বড় ষাঁড়। এর ধারেকাছে নেই একটিও- এমনটাই তিনি মনে করেন।

‘বাংলার রাজা’র মুনিব জয়নাল আবেদিন আরো জানান, কয়েক বছর আগে দুধের যোগান দিতে একটি গাভি কিনে আনেন তিনি। সেই গাভির পেট থেকে এই রাজার জন্ম। নিত্যান্তই শখের বশে লালন-পালন করেন। সম্পূর্ণ দেশি খাবারে বড় করা হয় ষাঁড়টিকে। কোনেপ্রকার রাসায়ানিক খাদ্য দেওয়া হয়নি। প্রয়োগ করা হয়নি কোনোপ্রকার মোটাতাজা করার ওষুধ। জয়নালের দাবি, শুধুমাত্র ধানের গুঁড়ো, গমের ভুষি, খড় আর ঘাস খাওয়ানো হয়েছে তাকে। সব মিলিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ শ টাকার খাবার খাওয়ানো হয়েছে ষাঁড়টিকে।

পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে লালন করে বড় করেছি। এখন বিক্রি করতে হচ্ছে। এমনটা ভাবতেই খারাপ লাগে। বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পরেই প্রতিদিন দু-একজন  ক্রেতা আসছে বাড়িতে। তবে মনমতো দাম বলছে না। করোনা মহামারি, বন্যা আর বৃষ্টি না থাকলে এতদিন ভালো দামে বিক্রি করতে পারতাম। তবে তিনি আশাহত নন, লাভ না হলেও আসল দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে প্রতাশা তার।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. কে এম ইফতেখারুল ইসলাম জানান, জয়নাল আবেদিন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে গরুটিকে প্রতিপালন করেছেন, আমরা গরুটির খোঁজখবর নিচ্ছি। ন্যায্যমূল্যে তিনি গরুটি বিক্রি করতে পারবেন আশা করছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − four =

Back to top button