BreakingLead Newsআন্তর্জাতিক

রিজার্ভ কমল আরও ১৪ কোটি ডলার

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও ১৪ কোটি ডলার কমেছে। ফলে এখন গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯৬৯ কোটি ডলারে। একই সময়ে প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ ২৩৩১ কোটি ডলারে নেমেছে।

১৯ জুলাই গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯৮৫ কোটি ডলার এবং নিট রিজার্ভ ছিল ২৩৪৫ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে নিট রিজার্ভ ১৪ কোটি ডলার কমলেও গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১৬ কোটি ডলার। কারণ গ্রস রিজার্ভ থেকে গত সপ্তাহে আরও ২ কোটি ডলার বাদ দিয়েছে। এ কারণে গ্রস রিজার্ভ বেশি কমেছে। ১৩ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ে রিজার্ভ কমে ১৪ কোটি ডলার।

সূত্র জানায়, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স কিছুটা বাড়লেও আমদানির দেনা পরিশোধ করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে বাড়তি ডলার থাকছে না। যে কারণে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে যোগ হচ্ছে কম। এদিকে আগের আমদানির দেনা পরিশোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এখনো ডলার বিক্রি অব্যাহত আছে। ফলে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।

১৩ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভের পাশাপাশি নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করছে। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুধু গ্রস রিজার্ভ প্রকাশ করত। এখন গ্রস রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন তহবিলে বিনিয়োগ করা ৬৩৮ কোটি ডলার বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভ প্রকাশ করছে।

আইএমএফ হিসাবে জুনের মধ্যে দেশের গ্রস রিজার্ভ ২৯৯৬ কোটি ডলারে নেমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। যা মোট আমদানি ব্যয়ের সাড়ে ৩ মাসের সমান। একই সঙ্গে ওই সময়ে নিট রিজার্ভ ২৪৪৬ কোটি ২০ লাখ ডলারে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিল। এখন আইএমএফ’র পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি রিজার্ভ কমে গেছে। এই রিজার্ভ ২ দশমিক ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। অর্থাৎ ৩ মাসের আমদানি ব্যয়ের চেয়ে কম।

এদিকে আইএমএফ’র পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী বছরের জুনের মধ্যে গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩৪২৩ কোটি ডলারে উঠতে পারে। নিট রিজার্ভ থাকতে পারে ২৮৭৩ কোটি লাখ ২০ ডলার। যা দিয়ে ৩ দশমিক ২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।

৩০ জুন রিজার্ভ ছিল ৩১২০ কোটি ডলার। এ হিসাবে ২৭ দিনের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১৫১ কোটি ডলার। এর মধ্যে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের দেনা বাবদ ১১০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের আগে আর বড় ধরনের দেনা শোধ করতে হবে না।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী চলতি বছর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ রয়েছে। যে কারণে রিজার্ভ স্বস্তিতে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জুনে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। চলতি জুলাইয়েও রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বাড়ছে। তবে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান খাত রপ্তানি আয় খুব একটা বাড়ছে না। প্রধান বাজারগুলোতে রপ্তানি কমে যাওয়ায় আয়ও কমে যেতে পারে। ফলে রিজার্ভ চলতি অর্থবছরেও চ্যালেঞ্জের মধ্যেই থাকবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 12 =

Back to top button