রূপগঞ্জ ট্রাজেডিঃ মৃতদের আজীবন আয়ের মানদণ্ডে ক্ষতিপূরণ দাবি
নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের শিকার কমপক্ষে ৫২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) নামে একটি সংগঠন।
একই সঙ্গে এ ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আজীবন আয়ের মানদণ্ডে ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
শ্রমিক নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন যুগ্ম সমন্বয়ক কামরুল আহসান। স্কপের পক্ষে লিখিত বক্তব্য ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট পাঠ করেন অপর যুগ্ম সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ দফা দাবি এবং দাবি আদায়ে প্রাথমিক কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
★সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক কারণ উদঘাটনের স্বার্থে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
★সেজান জুস কারখানায় শ্রমিকদের মৃত্যুর জন্য দায়ী মালিকপক্ষ এবং কর্তব্যে অবহেলার জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তি দিতে হবে।
★মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং রানা প্লাজা ধ্বংসের ঘটনায় ক্ষতিপূরণের হারকে বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে।
★ক্ষতিপূরণের একই হারে আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
★ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকা অবস্থায় কর্মহীন শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শ্রমিক নেতা নুর কুতুব মান্নান, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, রাজেকুজ্জামান রতন, সাইফুজ্জামান বাদশা, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, চৌধুরী আশিকুল আলম, নঈমুল আহসান জুয়েল, আহসান হাবিব বুলবুল, সাকীল আক্তার চৌধুরী, শামীম আরা, আব্দুল ওয়াহেদ, পুলক রঞ্জন ধর, নিহত শ্রমিক রহিমা বেগমের স্বামী মো. সেলিম ও মেয়ে লিপা আক্তার প্রমুখ।