মন্ত্রিসভায় দফতর বদল করা হয়েছে। তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দফতরে পরিবর্তন এসেছে। তাদের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমও আছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় চৌকস মন্ত্রীদের একজন রেজাউল করিমের দফতর বদল নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে-তাকে কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখানে ডিমোশন-প্রমোশনের কোনো বিষয় নয়, মন্ত্রী মন্ত্রীই। মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ই।
রোববার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিমের দফতর বদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম নতুন করে যে মন্ত্রণালয়টা পেয়েছেন, সেটি তো এখন সারাবিশ্বে ভালো পজিশনে আছে। মাছ রফতানিতে আমরা খুবই বর্ধমান। মাছের আয়ের ক্ষেত্রে দেশের পজিশন অনেকটা হাই। সেদিক থেকে বিচার করলে এই মন্ত্রণালয়কে খাট করে দেখা যায় না।
‘গণপূর্তের কাজ এক রকমের, আর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের কাজ আরেক রকমের। সব জায়গায়ই কাজ আছে। কাকে দিয়ে কোন জায়গায় পারফরম্যান্স ভালো হবে, সেটি প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করবেন’-যোগ করেন কাদের।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাকে দিয়ে কাজটা ভালো হবে সেটি প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন। হয়তো তিনি মনে করেছেন, গণপূর্তের চেয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে শ ম রেজাউল করিম আরও ভালো কাজ করবেন, কাজে আরও গতি পাবেন, সে জন্য তাকে এখানে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদের দফতরে রদবদলের কথা জানানো হয়।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের এই দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করেছেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।