Breakingধর্ম ও জীবন

রোজা ভাঙতে কেন খেজুর খাওয়া হয়? জানলে অবাক হবেন!

এক মাস রোজা রাখার রীতি রয়েছে ইসলামে। রোজা রাখার নিয়ম হচ্ছে— সেহরি খাওয়ার পর থেকে সারা দিন উপোস থেকে সূর্যাস্তের পর কিছু মুখে দিয়ে রোজা ভাঙা, যা ইফতার নামে পরিচিত।

ইফতারে খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙা হয়। কিন্তু অনেকেই জানি না, খেজুর দিয়ে কেন রোজা ভাঙি। খেজুরে কি এমন পুষ্টিগুণ আছে। তাই সবার জানা উচিত খেজুরের মধ্যে কী এমন স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে।

আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি প্রদান করে খেজুর এবং খুব সহজেই হজম হয় এ খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম।

পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। সারা দিন উপবাসের পরে শরীরে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে এই ফল।

এদিকে সারা দিন না খেয়ে থাকলে সন্ধ্যার সময় বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়। যার ফলে পেটের রোগ, হজমে গণ্ডগোল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।

ইফতারের সময় খেজুর খেয়ে শুধু ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে না, বরং সারা দিন উপবাসের পরে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। খেজুরে প্রচুর ফাইবার থাকার কারণে অল্পতেই খাবারের চাহিদা পূর্ণ হয়।

তাছাড়া খেজুর আমাদের শরীরে হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সারা দিন উপোস থাকার কারণে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তবে খেজুর শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে শারীরিক অস্বস্তি কমায়।

সারা দিন উপোস থেকে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু খেজুর খেলে শারীরিক ক্লান্তি দূর করে এবং এনার্জি জোগাতেও সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। যেমন- গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। এতে সুগারের পরিমাণ এতটাই বেশি, যে এক কামড়েই অনেকটা এনার্জি পাওয়া যায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ উপবাসের পর শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে খেজুরের এসব গুণ।

এ ছাড়া খেজুরে থাকা ডায়েটারি ফাইবারও আমাদের শরীরে দীর্ঘ সময় এনার্জি বজায় রাখে। শরীর ডিটক্সিফাই করে সারা দিন উপোস থাকার ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমা হতে পারে। আর এই খারাপ কোলেস্টেরল ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে খেজুর।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × five =

Back to top button