রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরতের ২য় প্রচেষ্টা হচ্ছে: জাতিসংঘ
প্রায় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার দুবছর পর তাদের মিয়ানমারে ফেরতে দ্বিতীয়বারের মতো প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে বলে শুক্রবার বাংলাদেশি ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র ক্যারোলিন গ্লাক এপিকে বলেন, স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য স্বাক্ষরিত ৩,৪৫০ জনকে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ২২ হাজার রোহিঙ্গার নামের যে তালিকা দিয়েছিল, সেখান থেকে আবার যাচাই-বাছাই করে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশের শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার আবুল কালাম জানান, মিয়ানমার শরণার্থীদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে এবং এখন তারা চাইলে সেখানে ফিরে যেতে পারবে।
এর আগে ঢাকায় তিনি বলেন, সরকার কক্সবাজারের স্থানীয় কর্মকর্তাদের চারটি শরণার্থী শিবিরে তালিকাভুক্তদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো তারা (রোহিঙ্গারা) স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চাইলেই কেবল তাদের প্রত্যাবাসন হবে।
‘আমরা তালিকা অনুযায়ী কাজ করছি, কিন্তু তারা ফিরে যাবে কি না তা বলতে পারছি না,’ যোগ করেন তিনি।
যেসব শরণার্থী বাড়ি (মিয়ানমারে) ফিরতে চায়, বাংলাদেশ তাদের সহায়তা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, তবে তাদের ফেরার ব্যাপারে বল প্রয়োগ করা হবে না।
এদিকে শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গা শরণার্থী সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন, তাদের সাথে এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা করা হয়নি এবং আসন্ন প্রত্যাবাসনের পরিকল্পনার বিষয়ে তারা অবগত নন। (ইউএনবি)