ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদা সম্পন্ন ও টেকসই প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাবে। ইউর এক্সটার্নাল এ্যাকশন সার্ভিসের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পামপালোনি আজ এ কথা বলেন।
বিএসএস এক প্রতিবেদনে জানায়, ইইউ-বাংলাদেশ যৌথ কমিশনের ৯ম অধিবেশন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদে প্রত্যাবাসনের জন্য ইইউ বাংলাদেশকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইইউর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, স্বেচ্ছায় ও শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া।
তিনি বলেন, এনজিওসহ বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠিগুলো বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটের কারণে সৃষ্ট মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
ইইউ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ইইউ বাংলাদেশের জনগন ও সরকারকে অব্যাহত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে জিএসপি প্লাস সুবিধা লাভ বাংলাদেশের জন্য সম্ভব।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে সুশাসন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, অর্থনীতি, বণিজ্য সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা ইস্যু, জিএসপি প্লাস সুবিধা লাভের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি, এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনজে তীরিং অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধির মাধম্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ ও ইইউ উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। বৈঠকে রাজনৈতিক উন্নয়ন পর্যালোচনা এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গুরুত্বসহ গণতন্ত্র, আইনের শাসন, এবং সুশাসনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
উভয় পক্ষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনা করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, বাক স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়, এমন কোন বিষয়ে এই আইনের কোন ধারা ব্যবহার করা হবে না।