Lead Newsজাতীয়

রোহিঙ্গা সংকট ঝুলে থাকার পেছনে পাঁচ ‘মাতব্বর’কে দায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন রোহিঙ্গা সংকট ঝুলে থাকার পেছনে জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের পাঁচ সদস্যের ভূমিকাকে দায়ী করেছেন।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতিসংঘ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকাবাসী।

তিনি বলেন, তবুও আমরা প্রত্যাশা করছি এ সংকটের সমাধান হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ যা যা করার করছে। তবে জাতিসংঘের শক্তিটা হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচজন স্থায়ী সদস্য, তারা হলো ‘মাতব্বর’। এরা একজন যদি আপত্তি করে সেখানে জাতিসংঘ কিছুই করতে পারে না। বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার কথা বলতে চাই। তার ফলে আমাদের রোহিঙ্গা সমস্যা, ফিলিস্তিনের সমস্যা ঝুলেই আছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে লাখে লাখে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। ওই সময় আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল। বর্তমানে সব মিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। গত চার বছরে নতুন করে আরও দুই লাখ রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হওয়ায় তাদের সংখ্যা বেড়েছে এবং সংখ্যাটি ক্রমেই বড় হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গার ভারে জর্জরিত। অথচ রোহিঙ্গা সংকটের চার বছর পার হলেও তাদের প্রত্যাবাসনে নেই কোনো অগ্রগতি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করছে। আমরা প্রত্যাশা করছি, এ সংকটের সমাধান হবে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ আমাদের অনেক প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তবুও জাতিসংঘের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। জাতিসংঘ সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছে।

সেজন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশকে নিয়ে গর্বিত। বাংলাদেশও জাতিসংঘকে নিয়ে গর্বিত। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন কামরুল ইসলাম এমপি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকাবাসীর সভাপতি শুকুর সালেক প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + four =

Back to top button