জাতীয়শিল্প ও বাণিজ্য

লোডশেডিং কেন জানতে চেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে- যা অনাকাঙ্খিত। বর্তমানে পিক আওয়ারে ৯০০০ মেগাওয়াট চাহিদা হলেও গড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগছে। তবুও কেন লোড শেডিং হবে?

সোমবার রাজধানীর বারিধারার নিজ বাসভবন থেকে  বিদ্যুৎ বিভাগ এবং এর অধীনস্ত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ‘নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা’ সংক্রান্ত  সভায় প্রতিমন্ত্রী এমন প্রশ্ন তুলেছেন।

সভায় তিনি বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে দ্রুততার সঙ্গে গ্রাহকদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বলেন। রোস্টার করে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন তিনি।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.), পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন এবং দপ্তর ও কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালরা ভার্চ্যুয়াল এই সভায় অংশ নেন। সভায় মহামারীর সময়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, চলমান প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের সমস্যা ও সম্ভাব্য সমাধান, বিভিন্ন সময়ে করা চুক্তিসমূহ ও এর আওতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

নসরুল হামিদ বলেন, আগামীতে ঝড়-বৃষ্টি হবে, সচেতন থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। বর্তমান পেক্ষাপট বিবেচনা করে  বিদ্যমান প্রকল্পসমূহ পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।

অপারেশন এন্ড মেইনটেনেন্স নামক কোম্পানি গঠনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যৌথ বিনিয়োগে এরূপ কোম্পানি হলে আমাদের সক্ষমতা অনেক বাড়তো এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্যদের ওপর নির্ভর করতে হতো না। তিনি এ সময় গ্রিড সাব-স্টেশনগুলো নিয়মিত মেরামতের নির্দেশ দেন।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × five =

Back to top button